কোনো কটাক্ষ গায়ে মাখছি না, এবার মাঠে নামব: ঋতুপর্ণা

আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছিলেন বিনোদন জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এ ঘটনার পেরিয়ে গেছে ১৪ দিন। এতদিনেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা বলেছেন, কোনো কটাক্ষ গায়ে মাখছি না। এতদিন দূর থেকে প্রতিবাদ করেছি, এবার রাজপথে নামব।

আর্টিস্ট ফোরামের মিছিলে দেখা যাবে তাকে। এতদিন নানা কারণে শহরের বাইরে থাকায় পথে নেমে প্রতিবাদ জানাতে পারেননি এ টালিউড অভিনেত্রী। এবার রাজপথে নামার হুমকি দিলেন তিনি।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তপ্ত গোটা দেশ। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নিজের মতো করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত ১৪ আগস্ট দেশের বাইরে থাকায় তিনি শাঁখ বাজিয়েছিলেন। তাই নিয়ে তুমুল কটাক্ষ করা হয়েছে এ অভিনেত্রীকে। গতকাল শনিবার নায়িকা নিজের শহরে আসেন।  আনন্দবাজার অনলাইনকে ঋতুপর্ণা বলেন, নানা কারণে শহরের বাইরে ছিলাম। বাইরে থাকলেও মন পড়েছিল এখানেই। শামিল হতে না পারলেও দূর থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি। এদিন সন্ধ্যায় তিনি আর্টিস্ট ফোরাম আয়োজিত গণসমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, এ খবর জানাতে ভোলেননি।

মন থেকে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের জন্য ঈশ্বরের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন এ অভিনেত্রী। অথচ তার প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে কটাক্ষের ঝড় বয়ে যায় সামাজিকমাধ্যমে। সেই প্রসঙ্গ তুলতেই ঋতুপর্ণার জবাব— কিছুই গায়ে মাখছি না। কোনো কটাক্ষের জবাবও দেব না। যার যা মনে আসে, বলুক।

তিনি বলেন, আমরা শিল্পী তো। আমাদের অনুভূতি সবাই বুঝতে পারবেন না। কিন্তু আমি তো জানি, আমি কত কষ্টে আছি! রাতে ভালো করে ঘুমাতে পারছি না। ভুললে চলবে না, আমারও কিন্তু মেয়ে আছে। ঋষণাকে তাই আপাতত চোখের আড়াল করতে চাইছি না। আর পাঁচজন মায়ের মতোই সারাক্ষণ আগলে রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানান ঋতুপর্ণা।

এ অভিনেত্রী বলেন, মুম্বাই থেকে শহরে এসেছি শনিবারের অভ্যুত্থানে যোগ দেব বলে। না হলে শান্তি পাচ্ছিলাম না। আজ (গতকাল) সবার সঙ্গে পথে নেমে, পা মিলিয়ে কিছুটা হলেও হয়তো স্বস্তি মিলবে। একই সঙ্গে তিনি নারী নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার।

এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, এত যন্ত্রণা সয়ে এক মেয়ের মৃত্যুবরণ করা! তা হলে কোথায় নিরাপদ আমরা?

ঋতুপর্ণা বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনপ্রয়োগ ও শাস্তিও চান তিনি। এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, যাতে বাকিরা অন্যায় করার আগে দুবার ভাববেন। তার আশা, তাতে যদি নারীদের জীবন বদলায়।