শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বছর নভেম্বরে আমেরিকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে, যেখান থেকে ভুল তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে কয়েকটি গোষ্ঠী। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, যে-সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে সেগুলোর সিংহভাগই চীনা নাগরিকদের। চীনের এসব নাগরিক আমেরিকান নাম ব্যবহার করে কয়েক হাজার ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মেটা। মোট কতটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে এমন প্রসঙ্গে মেটা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টধারীরা মূলত গোষ্ঠীবদ্ধভাবে কাজ করে। একে অন্যের পোস্ট বা ছবিতে কমেন্ট করে নিজেদের আসল মানুষ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে তারা। শুধু ফেসবুক না, ইন্সটাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো মাধ্যমগুলোতেও কয়েক হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট আছে। শিগগিরই এসব অ্যাকাউন্ট নজরদারিতে আনা হবে বলে জানিয়েছে মেটা। চীনা নাগরিকদের পাশাপাশি ফেসবুকে রুশ নাগরিকদেরও ভুয়া অ্যাকাউন্টটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধে রুশদের সমর্থনে এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নানাধর্মী পোস্ট দেয়া হয় বলে দাবি জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠানের। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষক এবং মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সব অ্যাকাউন্ট ভুয়া এর দাবি মেটা নিজেও করতে পারবে না। আবার কোনো তথ্য ঠিক বা কোনটি ভুল সেটি অনেক ক্ষেত্রে আপেক্ষিক। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে মন জোগাতে সেদেশের সরকারের সঙ্গে সমন্বিত ভাবে টেক কোম্পানিগুলো বাকস্বাধীনতা হরণের এমন প্রকল্পে হাত দিয়েছে বলে মনে করেন তারা।