পারমাণবিক অস্ত্রসহ সামরিক দিক থেকে উত্তর কোরিয়া পরাশক্তি হয়ে উঠার পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। একই সঙ্গে শত্রুর আক্রমণের শিকার হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না এই নেতা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) উত্তরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
বর্তমানে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত সপ্তাহে সিউল একটি সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে। সেখানে গোপন বাংকার ধ্বংস করতে পারে এমন দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এমনকি দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল কিমকে সতর্ক করে বলেছেন, পরমাণু ব্যবহার করার মানে হবে তার রাজত্বের শেষ পরিণতি।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো নিজের বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে টেনে আনলেন কিম। বললেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগসাজশ করে কোরীয় উপদ্বীপে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার জোটের দিকে ইঙ্গিত করে কিম বলেন, ইউন সুক ইয়োল তার বক্তৃতায় উত্তর কোরিয়ার অবসানের বিষয়ে কিছু রুচিহীন ও অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে তিনি তার প্রভুর শক্তির ওপর অন্ধ বিশ্বাসে সম্পূর্ণভাবে মগ্ন।
কিম জং উন ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে (জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়) দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, সত্যি বলতে গেলে আমাদের দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর আক্রমণ করার কোনো ইচ্ছা নেই। আমি প্রতিবার আমাদের সামরিক শক্তি ব্যবহারের অবস্থান সম্পর্কে বলেছি, আমি স্পষ্টভাবে এবং ধারাবাহিকভাবে ‘যদি’ শব্দটি ব্যবহার করেছি।
উত্তরের নেতা বলেন, যদি শত্রুরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহার করার চেষ্টা করে তাহলে প্রজাতন্ত্রের (উত্তর কোরিয়া) সামরিক বাহিনী বিনা দ্বিধায় সব আক্রমণাত্মক শক্তি ব্যবহার করবে। এর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারও বাদ দেওয়া হয়নি।
এ সময় কিম বলেন, আমাদের সামরিক ও পারমাণবিক পরাশক্তি হয়ে উঠার পদক্ষেপগুলো ত্বরান্বিত করা হবে।
কয়েক দশক ধরে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হয়, তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মতো পর্যাপ্ত উপকরণ রয়েছে। এমনকি দেশটি ছয়টি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক বিস্ফোরণের পরীক্ষা চালিয়েছে।