চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে। অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৪৩ দিন কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৩ সুষ্ঠু, নকলমুক্ত, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব এড়াতে ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পুনঃবিন্যাসকৃত সিলেবাসে একটি বিষয় বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে ও পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০ এমসিকিউ, ৩০ লিখিত এবং ব্যবহারিক ২৫ নম্বর থাকবে।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়ে চলবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গত ৮ জুন এ তারিখ নির্ধারণ ছাড়াও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এইচএসসি ও সমমানের কোনো কোনো পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবক চান ১৭ আগস্টে পরীক্ষা শুরু না করে আরও কিছুদিন যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ করেছেন রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে সকালে আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, পরীক্ষা পেছানোর দাবি ওঠানো শিক্ষার্থীরা না বুঝে আন্দোলন করছে। এই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।
চেয়ারম্যানের দাবি, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই পরীক্ষার সময়সূচি, নম্বর সাজানো হয়েছে।
২০২২-২৩ সেশনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৫ শিক্ষার্থী অংশ নেবে।
তাদের মধ্যে ১১ লাখ আট হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি, ৯৮ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী আলিম এবং এক লাখ ৫২ হাজার শিক্ষার্থী এইচএসসি বিএম, বিএমটি ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবে।