ইরানের সম্ভাব্য হামলা, বাগদাদকে সতর্ক করল ইসরাইল

ইসরাইলের নিরাপত্তা সংস্থা অনুমান করছে, ইরাক এবং ইয়েমেনের মিলিশিয়াদের মাধ্যমে হামলা চালাতে পারে ইরান। যদি ইরানপন্থি মিলিশিয়িরা ইরাকের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইসরাইলে হামলা চালায়, সেক্ষেত্রে বাগদাদকে সতর্ক করেছে ইসরাইল। লন্ডন-ভিত্তিক সৌদি সংবাদমাধ্যম ইলাফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলি কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘ইরান থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পর্কিত সরঞ্জামসামগ্রী ইরাকে স্থানান্তর করতে চায় তেহরান। ইসরাইলের ওপর সম্ভাব্য আক্রমণে এসব ব্যবহার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের ঘাঁটির পাশাপাশি ইরাকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুগুলো পর্যবেক্ষণ এবং চিহ্নিত করছে ইসরাইল। একইসঙ্গে ইসরাইল বাগদাদকে সতর্ক করে বলেছে, অবশ্যই মিলিশিয়াদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। আক্রমণ চালাতে ইরাকি ভূখণ্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে হবে।

অনেক বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ইরাককে ব্যবহার করে যুদ্ধকে নিজের ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। এ নিয়ে ইরাকি সূত্রগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এর আগে ১ অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশনের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যুত্তরে ইসরাইলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান।  তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরাইল।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরান ‘বড় ভুল করেছে’ এবং ‘এর মাশুল দিতে হবে’।

আর ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ২৬ অক্টোবর শনিবার রাতে ইরানে হামলা চালায় ইসরাইল। ইসরাইলের হামলায় চার সেনা নিহত এবং ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে দাবি করে ইরান। তবে হামলায় নিজেদের ‘সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’ বলে সফলতার দাবি করেন নেতানিয়াহু। ইরান দাবি, করে ইসরাইল ইরাকের মার্কিন ঘাঁটি ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘেও ইরাক এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়।