চট্টগ্রাম ব্যুরো: নগরবাসীর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আগামী এক বছরে শহরে ১০ লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন । শব্দ দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুপার স্পেশালিটি ল্যাবরেটরি “এসপেরিয়া হেলথ কেয়ার লিমিটেড” ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর যৌথ উদ্যোগে নগরীতে এক বর্ণাঢ্য সাইকেল র্যালির আয়োজনে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা জানান ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) র্যালিটি সকাল ৯টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্যারেড ময়দান এসে শেষ হয়।
সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এই র্যালির মাধ্যমে প্রচলিত শব্দ নির্বাপক যানবাহনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরো বলেন, “এসপেরিয়ার এই উদ্যোগ আমাদের নগরবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে—শব্দদূষণ প্রতিরোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকার নীরব পরিবেশ রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। শব্দ দূষণ হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও বধিরতার অন্যতম কারণ। আমরা ইতিমধ্যে নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকাগুলোতে অযথা হর্ন বাজানো রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি হুটার ও হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি।
এছাড়াও এ আয়োজনে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কমান্ডার ইখতিফার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন; ; রোমানা আকতার, সহকারী পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম; আমিনুল ইসলাম, ক্রীড়া সংগঠক, বাংলাদেশ জেলা উন্নয়ন ক্রীড়া পরিষদ চট্টগ্রাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এসপেরিয়া হেলথ কেয়ার লিমিটেডের পরিচালক জাহিদুল ইসলাম এবং জয়নব রুমা। র্যালিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১০০ সাইক্লিস্ট অংশগ্রহণ করেন।। র্যালির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা সাইকেলকে প্রচলিত যানবাহনের উৎকৃষ্ট বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেন।
এসপেরিয়ার চেয়ারম্যান গোলাম বাকি মাসুদ বলেন, “একটি স্বাস্থ্যকর সমাজ গঠনের জন্য শুধু চিকিৎসা নয়, শব্দদূষণ বিষয়ক সচেতনতা তৈরিও অত্যন্ত জরুরি। এ র্যালির মাধ্যমে আমরা সেই বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছি।”
এসপেরিয়ার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে শব্দদূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা জাগাতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।