অপমানে ৬ মাস আয়নার সামনে যাননি বিদ্যা, কিন্তু কেন?

বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। ভিন্ন ভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করার দক্ষতা রয়েছে তার মধ্যে। বিদ্যা এমন একজন অভিনেত্রী যার মতো ভার্সেটাইল ক্যারিয়ার সম্ভবত বর্তমান প্রজন্মে কোনো বলিউড অভিনেত্রীরই নেই। ‘কাহানি’তে বিদ্যা বাগচীর চরিত্রে সাসপেন্স গড়ে তোলা থেকে ‘ডার্টি পিকচার’এ সিল্ক স্মিতার চরিত্রে উষ্ণতা বাড়ানো, আবার তাকেই ‘ভুলভুলাইয়া’তে দেখা গিয়েছে ‘মঞ্জুলিকা’ চরিত্রে। সব ধরণের চরিত্রেই তিনি অত্যন্ত সাবলীল। অথচ এই বিদ্যার ক্যারিয়ারের শুরুতেই এমন ঘটনা ঘটেছিল যা দাগ ফেলে দিয়েছিল তাঁর মনে।

সম্প্রতি ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ এর প্রচারে এসে বিদ্যা ফাঁস করেন সেই অভিজ্ঞতা। ক্যারিয়ারের শুরুতেই এক প্রযোজক তার সঙ্গে যা করেছিলেন, তা কোনোদিন ভুলবেন না তিনি। সেবার একটি তামিল ছবির শুটিং করছিলেন বিদ্যা। নায়ক ছিলেন মোহনলাল। কিন্তু দুদিন হতে না হতেই আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয় বিদ্যাকে। হতভম্ব অভিনেত্রী নিজের বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছান ছবির প্রযোজকের চেন্নাইয়ের অফিসে।

কী বলেছিলেন প্রযোজক?

হঠাৎ কেন ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাকে? কারণ জানতে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল বিদ্যার সেটারই স্মৃতিচারণ করে অভিনেত্রী বলেন, তার দুদিনের শুটিংয়ের কিছু অংশ দেখিয়ে চরম তাচ্ছিল্য ভরে প্রযোজক তার বাবা মাকে বলেছিলেন, কোন দিক থেকে ওকে নায়িকার মতো লাগে! না জানে অভিনয়, না নাচ! কোনো উত্তর দিতে পারেননি বিদ্যা। শুধু মনে মনে বলেছিলেন, মাত্র দু দিন তো শুটিং হয়েছে। নাচ অভিনয় দেখানোর সুযোগটা তিনি পেলেন কই!

ওই ঘটনাটা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে প্রচুর বেগ পেতে হয়েছিল বিদ্যাকে। অভিনেত্রী জানান, ওই প্রযোজকের তাচ্ছিল্য, অপমান তার আত্মবিশ্বাস গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। নিজেকে কুৎসিত মনে হত তার। এতটাই যে ৬ মাস নিজেকে আয়নায় পর্যন্ত দেখেননি বিদ্যা।

তবে অভিনেত্রী বলেন, ওই ঘটনায় একটা উপকারও হয়েছিল তার। ক্যারিয়ারের শুরুতে হওয়ায় দয়ালু হতে শিখেছিলেন তিনি। বিদ্যার মতে, কথায় অনেক জোর থাকে। শুধুমাত্র কথার মাধ্যমে একটা মানুষকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলা যায়। তাই কথা বলার সময় শব্দ বাছাই করে বলা উচিত বলে মনে করেন বিদ্যা।