সিদ্ধিরগঞ্জে মেঘনা ডিপোতে মিটারম্যানের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে তেল বিক্রির অভিযোগ (ভিডিও সহ)

রাষ্ট্র মালিকানাধীন জ্বালানি গোদনাইল মেঘনা অয়েলের মিটার ম্যানদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে তেল বিক্রির অভিযোগ যেনো কিছুতেই থামছেই না। অভিযুক্ত ওই দুই কর্মকর্তা হলেন- ডিপোর মিটারম্যান কামাল ও আল- আমিন। ডিপোর এক্সেস তেল বিক্রি সহ তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও ডিপোতে নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এত অভিযোগ থাকার পরেও ডিপোর এক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ার সুবাদে তাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ডিপোর একাধিক সূত্র। ডিপো সূত্রে জানা যায়, গোদনাইল মেঘনা ডিপোতে মিটার পরিচালনা করেন ৮ জন। গত সপ্তাহে ডিপোতে গাড়ী লোড আনলোডের সময় মিটার ম্যান আল-আমিন ও কামাল পরস্পর যোগসাজশে ডিপোর একটি তেলের গাড়িতে ২০০ লিটার তেল বেশি দেন। যা দেখে ফেলেন অপর মিটারম্যান আমীর। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ডিপোর সহকারী ম্যানেজার (অপারেশন্স) করুন কান্তি হাওলাদার কে অবহিত করেন। কিন্তু করুণ কান্তি হাওলাদার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো মিটারম্যান আমীরকে ডিপোর মিটারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। যা নিয়ে পুরো ডিপো জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলছে।

ডিপোর একাধিক সূত্রমতে জানা যায়, খুলনায় একই ডিপোতে চাকরির সুবাদে ডিপোর সহকারী ম্যানেজার করুন কান্তির সাথে কামালের যোগসাজেশ রয়েছে। ডিপোর পুরনো মিটারম্যান আমানতকে চাঁদপুরে বদলি করে কামালকে খুলনার ডিপো থেকে গোদনাইল মেঘনা ডিপোতে পদায়ন করেন করুন কান্তি হাওলাদার। বর্তমানে তার সাথে যোগসাজশে কামাল এক্সেস তেল বিক্রি করছে বলে জানা যায়। এর আগেও মেঘনা ডিপোতে ৬০ হাজার লিটার তেল গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পূর্বের ন্যায় ডিপোতে আবারও এরকম তেল চুরির সিন্ডিকেট ঘরে উঠেছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন সহকারী ম্যানেজার অপারেশন্স করুন কান্তি হাওলাদার বেশ কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা। মিটার ম্যানদের সাথে এ কর্মকর্তার একটি মাসিক চুক্তিও রয়েছে বলে জানায় ডিপোর একাধিক সূত্র। এ বিষয়ে সহকারী ম্যানেজার করুন কান্তির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।