কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজ বসত ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্যাম্পের সাবেক মাঝি করিম উল্লাহ (৩৭) নামে যুবককে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত যুবক মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন আরসার সাবকে সদস্য হিসেবে পরিচিত। দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তাকে আরসার সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে জবাই করে হত্যার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-২০ এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল।
নিহত করিম উল্লাহ (৩৭) উখিয়ার কুতুপালং ২০ নম্বর ক্যাম্পের সাবেক মাঝি ও ব্লক-এম/২৭ এর মৃত গনি মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন মুখোশধারী একত্রিত হয়ে ক্যাম্প-২০, ব্লক – এম/২৭ মাঝি রোহিঙ্গা করিম উল্লাহ (৩৭),নিজ শেড থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে শেডের সামনে গলায় দা দিয়ে জবাই করে। জবাই করে তাকে ফেলে রেখে বিভিন্ন গলিপথ দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হত্যাকারিরা সবাই আরসার সদস্য বলে ধারণা সাধারণ রোহিঙ্গাদের। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দেখলন মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নিহত করিম পূর্বে আরসার সক্রীয় সদস্য ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আরসা হতে অব্যহতি নেন এবং মিয়ানমারের আরেক বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন আরএসও এর সোর্স হিসেবে কাজ করছিলেন।আরএসওকে আরসা সদস্যদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করায় আরসা সন্ত্রাসীরা করিমকে হত্যা করে বলে প্রচার পায়।
অপরদিকে, নিহত রোহিঙ্গা করিম উল্লাহর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় ওয়ারেন্টও ছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে কুতুপালং এপিবিএন ক্যাম্পের পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত রাখে। পরবর্তীতে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
ক্যাম্প এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন অধিনায়ক।