চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলেছেন, নির্বাচনে জিতে আসার চ্যালেঞ্জ পার হয়ে আসলাম আলহামদুলিল্লাহ। সেটার চেয়ে এখন যে চ্যালেঞ্জ সেটি কঠিন। আমি তো একা পারবো না। ফটিকছড়ির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুইটি পৌরসভা, ১৮টি ইউনিয়ন। একেক ইউনিয়নের, একেকটি পৌরসভার মানুষের একেক ধরনের চাহিদা থাকতে পারে। নির্বাচনে আমার মূল বক্তব্য ছিল- নিরাপদ, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত ফটিকছড়ি গড়তে চাই। এর জন্য যা যা করতে হয় আমাদের করতে হবে। মাত্র শপথ হলো। সংসদ বসবে। আস্তে আস্তে সবই হবে। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।
শপথ গ্রহণের পর মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ফটিকছড়ি আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
স্থানীয় গ্রুপিং প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ফটিকছড়ির গ্রুপিং নিরসনের জন্য চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চাচা এখন থেকে প্রায় আট-নয় মাসে আগে একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যেহেতু আওয়ামী লীগ একটা বড় রাজনৈতিক দল এবং প্রাচীন একটা সংগঠন, এখানে গ্রুপিং থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ফটিকছড়ি না এটা সবখানে। ছোটখাটো গ্রুপিং চাচা মিটমাট করে দিয়েছিলেন। যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি মোশাররফ চাচাকেও বলেছিলেন, আমাদের নেতৃবৃন্দকেও বলেছিলেন যেহেতু আমি নমিনেশন পাওয়ার পরও জোট আসতে পারে আসতে পারে একটা বিষয় ছিল।
তখন উনি বলেছিলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছি ঠিক কিন্তু সনির মনোনয়ন ঠিক থাকলে আমি উইথড্র করে নেব। এ ধরনের কথা বলেই কিন্তু তিনি নমিনেশনটা সাবমিট করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আসলে উইথড্র করেননি। এখন দেখা যাক। যেহেতু একবার মিটমাট করার পর উনার এ ধরনের আচরণের পরে আমিতো রাজনীতি একা করতে পারবো না। জনগণের একটা বিষয় আছে। সবার সঙ্গে আলাপ করে উদ্যোগ নিতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। পুরো বাংলাদেশে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে সেই হিসাবে আমরা পিছিয়ে গেছি। রাস্তাঘাটসহ প্রতিটি খাতে উন্নয়ন করতে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং ফটিকছড়িবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী নমিনেশন না দিলে ফটিকছড়ি হয়তো অবহেলিতই রয়ে যেত। আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। বিশেষ করে আমি রফিকুল আনোয়ারের সন্তান। তাই মানুষ আস্থা রেখেছেন। যত শিগগির সম্ভব কাজগুলো শুরু করবো। মানুষের আস্থা যেন আমি ধরে রাখতে পারি সেই চেষ্টা থাকবে।
পর্যটন শিল্পের বিকাশ, রামগড় পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, নারী উদ্যোক্তা তৈরি, এসএমই এবং ই কমার্সের প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের তাঁত পল্লী, কুটির শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানান এ নারী সংসদ সদস্য।