চবির ইংরেজি বিভাগের নানান অনিয়ম, অফিস স্টাফদের অপেশাদার এবং অসহযোগিতামূলক আচরণের প্রতিবাদের নিজের ভর্তি বাতিলের আবেদনের পর এবার পাঁচ দফা দাবিতে একাই আন্দোলনে নেমেছে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নূরুদ্দীন শহীদ।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান নিয়ে এসব দাবি জানান তিনি।
শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো:
অনতিবিলম্বে ইংরেজি বিভাগের অফিস সহকারী ও অফিস সহায়ককে কাজ থেকে অব্যহতি দিতে হবে। বিভাগের সেশনজট নিরসনে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে।
তৃতীয় বর্ষ (২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষ) থেকে বিভাগকে সেশনজট মুক্ত করার জন্য যথাযময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ ও আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষার পূর্বে শ্রেণিকক্ষে একাডেমিক সিলেবাসের নূন্যতম ৮০ শতাংশ পাঠদান শেষ করতে হবে। সকল শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়ায় ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করতে হবে।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর চবির ইংরেজি বিভাগের সভাপতিকে মাধ্যম করে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের কো-অর্ডিনেটর বরাবর ই-মেইলে ভর্তি বাতিলের আবেদন করেন তিনি।
আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমি ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের মাস্টার্সের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। বিভাগের নানান অনিয়ম, অফিস স্টাফদের অপেশাদার, হীন এবং অসহযোগিতামূলক আচরণের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না হওয়া, বারবার একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটা এবং সর্বোপরি ইংরেজি বিভাগে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ের হওয়া, এমনকি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনকে বিরক্তিকর ভাবা ইত্যাদি কারণে আমি এ বিভাগের মাস্টার্স থেকে আমার ভর্তি বাতিল করতে মনস্থির করেছি। অতএব এ বিষয়গুলো বিবেচনাপূর্বক আমার ভর্তি বাতিলের আবেদন গ্রহণ করে নানাবিধ নিপীড়ন থেকে রেহাই পেতে সহায় হোন।