গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ইসরায়েলের নেই

গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ইসরায়েলের নেই‘গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ইসরায়েলের নেই, সেটি ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড। আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতিতে ফিরে যেতে হবে এবং এই নীতিকে সম্মান জানাতে হবে,’মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একথা বলেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোন্না।

সম্প্রতি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের দুই উগ্রপন্থি মন্ত্রী। যুদ্ধের পর গাজার নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত। এই প্রেক্ষাপটে ফরাসি প্রতিক্রিয়া তুলে ধরলেন ক্যাথরিন।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমটিকে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি মন্ত্রীদের এ ধরনের ঘোষণা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এবং এটি আমাদের ‘বাস্তবতা থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে।’ এছাড়া এ ধরনের মন্তব্য ইসরায়েলের দীর্ঘকালীন পরিকল্পনারও পরিপন্থি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড। যেটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হতে চায়। আমরা দুই রাষ্ট্রনীতিকে সমর্থন জানাই। যেটি একমাত্র কার্যকরী সমাধান। ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে গাজা এবং পশ্চিম তীরকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে।’

এছাড়া লেবাননসহ অন্যান্য অঞ্চলে যেন যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বার্তাসংস্থা এপি গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজার বাসিন্দাদের আফ্রিকায় পাঠাতে গোপনে কাজ করছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে কঙ্গোসহ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের সঙ্গে আলোচনাও করেছে তারা। ইসরায়েলের গোয়েন্দা মন্ত্রী সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজায় এমন হামলা চালানো হচ্ছে; যেন এটি একটি ব্যর্থ অঞ্চলে পরিণত হয় এবং গাজার বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে অন্যত্র চলে যান।

এদিকে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় হাজারো ফিলিস্তিনি নিহতের পর যেসব পশ্চিমা দেশ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফ্রান্স।