ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত বা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অব্যাহত হামলা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অব্যাহত হামলা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টি জানা গেছে। গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের অভিযানে হতাহতের ঘটনায় ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অব্যাহত হামলা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই পরিকল্পিত আগ্রাসনকে গণহত্যা সনদসহ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট অবজ্ঞা ও লঙ্ঘন বলে মনে করে বাংলাদেশ। তাই ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা যে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সেই আবেদনের সমর্থন করে। বিবৃতিতে গণহত্যা কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তির জন্য গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার জন্য সব রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় চলমান ইসরাইলি সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত করা, গাজায় নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তার অনুমতি দেয়ার যে অনুরোধ দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে বাংলাদেশ সেটিকেও সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের দখলদারিত্বের অবসান ও একটি স্থায়ী সমাধান আশা করে বাংলাদেশ। সে জন্য ১৯৬৭ সালের আগে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের যে সীমানা ছিল সেটি বিবেচনায় নিয়ে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।