বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেছেন। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা ট্রলার ও পণ্যবাহী নৌযানে বরিশাল শহরে আসতে থাকেন। এ সময় তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড।
শুক্রবার রাতেই শনিবারের সমাবেশের আবহ তৈরি হয় এ উদ্যানে। রাত ১১টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, নেতাকর্মীদের কেউ কেউ রাতের খাবার খাচ্ছেন, অনেকে শোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে সমাবেশে আসতে থাকা ছোট ছোট দলকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন। একটা উৎসবের আমেজ ছিল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে।
এদিকে বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন থেকেই বরিশাল শহরে প্রবেশের সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। এরমধ্যে তিন চাকার যান ও ভোলা থেকে বরিশালমুখী লঞ্চ বন্ধ দুদিন ধরে। শুক্রবার সকাল থেকে বন্ধ বাস, ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস, স্পিডবোট এবং অভ্যন্তরীণ সব গন্তব্যের লঞ্চ চলাচল। সর্বশেষ শুক্রবার বিকালে বরিশাল-ঢাকা-বরিশাল গন্তব্যে লঞ্চ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন মালিকরা। শহরে প্রবেশপথে ব্যক্তিগত গাড়িও পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়ে। তবে এর মধ্যেও বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে ব্যবহার করছেন নানা কৌশল।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান বলেন, আরও হাজার হাজার নেতাকর্মী শনিবার দুপুরের মধ্যে সমাবেশের মাঠে পৌঁছাবেন। সব বাধা পেরিয়ে সমাবেশে লাখো মানুষ উপস্থিত হবে। হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে মানুষ এই সরকারকে চূড়ান্ত অনাস্থা জানাবে।
গণসমাবেশের অন্যতম সমন্বয়ক জহির উদ্দীন স্বপন বলেন, শনিবার প্রমাণ হবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।