বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। ১২৬টি কেন্দ্রের ফলাফল গণনা শেষে সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ১২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে নৌকা প্রতীকে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।
এদিকে বরিশালে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। এর মধ্যে সকাল ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মেইন রোডের একটি কেন্দ্রে প্রবেশ করা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম ও তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া বরিশালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোড মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভেতরেই ভোট দিতে আসা লাটিম মার্কার প্রার্থী মু. শাহরিয়ার সাচিব (রাজিব) এবং টিফিন বক্স মার্কার প্রার্থী শেখ সাঈদ আহমেদের (মান্না) সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বরিশালে মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)।
৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯। ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ভাতিজা সাদিক আবদুল্লাহর চেয়ারে বসছেন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।