আসন্ন খুলনা-বরিশাল ও রাজশাহী-সিলেটসহ চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে নিয়োজিত থাকবে ৪৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। তারা ভোটের আগে পরে পাঁচ দিনের জন্য নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্থাটির আইন শাখার উপ সচিব মো. আব্দুছ সালাম সম্প্রতি আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৮৬ তে উল্লিখিত বিধি ৭২, বিধি ৭৪, বিধি ৭৫, বিধি ৭৬, বিধি ৭৭ এর উপবিধি (১) ও বিধি ৭৮ এর অধীন নির্বাচনী অপরাধগুলো দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর সেকশন ১৯০ এর সাবসেকশন ১-এর অধীনে আমলে নেওয়া ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের নিমিত্তে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা সম্পন্ন জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা আবশ্যক। এজন্য খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী সিটিতে ১০ জন করে ৩০ জন এবং সিলেট সিটিতে ১৪ জন; মোট ৪৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
পৃথক দুটিতে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চার সিটি নির্বাচনের ভোটের দুই দিন আগে ভোটের দিন ও ভোটের দুই দিন পর পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য তাদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় নির্বাচনের জন্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মনোনয়ন প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে চলছে নির্বাচনী প্রচার। খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন। তফসিল অনুযায়ী, এই দুই সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন। এছাড়াও রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ জুন। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন।