চসিকের গৃহকর বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ ও কর ব্যবস্থাপনাকে জনবান্ধব করার দাবি জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি। রোববার (২৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ জানান, নতুন করে গৃহকর পুনঃমুল্যায়নের নামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গৃহকরের পরিমাণ এক লাফে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ আশি হাজার টাকা হওয়া, ভাড়া আদায়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণের প্রক্রিয়ার কারণে সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স এখন বাড়ির মালিকের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গৃহকর নির্ধারণে এক লাফে এতো কর বৃদ্ধি যেভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি গৃহকর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সিটি করপোরেশনের একশ্রেণীর কর্মকর্তাদের নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে এভাবে গৃহকর বৃদ্ধি করা হলে তার পুরো দায়ভার গিয়ে পড়বে ভাটাটিয়াদের উপর। করোনাসহ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সাধারন মানুষ এমনিতেই নিত্যপণ্য, সেবা সার্ভিসের মূল্যবৃদ্ধি, ভ্যাট, ট্যাক্সসহ নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের ভারে জর্জরিত।
সেখানে সিটি কর্পোরেশনের গৃহকরের এক ধাপে ১০ গুণের বেশী বৃদ্ধি মানুষের ভোগান্তির নতুন মাত্রা যোগ করবে। যা পুরো নগরবাসীর জীবন যাত্রার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং যা বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু ও সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে বর্তমানে চলমান গৃহকর আদায় প্রক্রিয়া বন্ধ করে বাড়িভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর মূল্যায় না করে, সম্পত্তির অবস্থান, বর্গফুট, গুণগত মান এবং কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যই হতে হবে গৃহকর নির্ধারণ, দেশের সব সিটি করপোরেশনের গৃহকর নির্ধারণের পদ্ধতিকে ইউনিফর্ম পদ্ধতিতে নিয়ে আসার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করে ধাপে ধাপে কর বৃদ্ধি ও কর মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কর আদায়কে জনবান্ধব করার দাবি জানিয়েছেন।