ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী, প্রচলিত আইন-কানুন অমান্যকারী, ও খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক হয়। আপনার থানায় স্ব-শরীরে হাজির হইয়া বিবাদীগণের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদীগণ আমার প্রতিবেশী লোক হয়। বিবাদীগণের সহিত পূর্বে হইতে জায়গা-জমির বিষয় নিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। বিবাদীগণ আমার ভোগ-দখলীয় জমি জোর-পূর্বক দখল করার চেষ্টা করিলে বিজ্ঞ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চকরিয়া, কক্সবাজারে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে সি. আর-১৪৩২/২০২৫ইং মামলা দায়ের করি এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত, কক্সবাজার এম. আর. মামলা নং- ৫৫৮/২০২ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা থাকার পরেও কোর্ট এর আদেশ অমান্য করিয়া ০২/০৮/২০২৫ইং তারিখে রাত অনুমানিক- ২:৫০ ঘটিকার সময় পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে বিবাদীগণ বেআইনী জনতা গঠন পূর্বক ধারালো দা, কিরিচ, লোহার রড়, হাতুড়ি ইত্যাদিয়া নিয়া আমার ভোগ-দখলীয় নাল জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার রোপন করা ধানের চারা উপড়াইয়া নিয়ে যায়। যাহার ফলে- ৩৫,০০০/- (পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকার অধিক ক্ষতি সাধন করে। বিবাদীগণ থেকে এই রকম জঘন্যতম ঘটনার কারণ জানতে চাইলে বিবাদীগণ প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে যে, উক্ত জমি দখল করিবে, কেউ বাধা প্রদান করিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মত ঘটনা করিবে, মর্মে হুমকি-ধমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। উক্ত জমিতে বিবাদীগণের কোন দখল সামিত্য নাই বা কখনো ছিল না। তাপরও সন্ত্রাসী কায়দায় জোর-পূর্বক দখল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে। বিবাদীগণ যে কোন মুহুতে রক্তক্ষয়ী সংঘষের মত ঘটনা করার বিদ্যমান বিধায় বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতে বাধ্য হলাম। ঘটনার বিষয়ে যথেষ্ট স্বাক্ষী প্রমাণ আছে।
ইতোপূর্বে ভুক্তভুগি রফিকুল হক আবুল কালাম (বাহাদু) এবং অঙ্গাতনামা আরো ৬/৭ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর ৪ (ক) (৫) / ৮ (২) / ৯ / ৪/১০/২০ ফৌজদারী দরখাস্ত দায়ের করেন। অভিযোগকারীর অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেন। ৯ জুলাই বুধবার পেকুয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করতে আসেন। এসময় অভিযুক্ত আবুল কালাম স্থানীয় সন্ত্রাসী নিয়ে ঘটনাস্থলে আগে থেকেই অবস্থান নেয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে যার যার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদিসহ থানায় সালিশি বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়। উক্ত বৈঠকে সন্ত্রাসী আবুল কালাম উপস্থিত না হলে তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল হকের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, পিতার মৃত্যুর ভাইবোন ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে বণ্টননামা মূলে সবাই দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে করে আসতেছে। জমির অংশীদার ভাইয়েরা ঢাকা শহরে চাকুরীরত থাকায় অন্য এক ভাই রফিকুল হক জমি সংরক্ষণ, দেখাশুনা ও লাগিয়ত করে আসতেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়. উক্ত জমি খাজনা অনাদায়ের কারণে ১৯৫৮ সালে সরকার নিলাম ঘোষণা করেন। সেই আলোকে ১৯৬০ সালে ৩৮ নং মানিজারী মোকদ্দমার ডিক্রি মূলে কক্সবাজার মুন্সেফ আদালত থেকে ছিদ্দিক আহমদ উক্ত জমি নিলাম খরিদ ক্রয় করেন। নিলাম খরিদ্দার ছিদ্দিক আহমদ উক্ত জমি ১৯৭০ সালে টাকার প্রয়োজনে বাদীর পিতা রমিজ আহমদ কে বিক্রয় করে দখল হস্তান্তর করেন। খরিদ মালিক রমিজ আহমদের নাম লিপি করাইয়া দেন এবং তা বি.এস ১৩৫০ নং খতিয়ান ভুক্ত হয়। রমিজ আহমদ আহমেদের মৃত্যু ঘটলে তার সন্তানরা ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিকানা পায়। বাদী রফিকুল হক এবং তার ভাইয়ের নিরহ প্রকৃতির হওয়ায় বিবাদী আবুল কালাম (বাহাদু)’র ভয়ে নিরাপত্তা হীনতায় দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছে। বিবাদী ভূমিদস্যু। সে দেশের প্রচলিত আইন কাননের তোয়াক্কা না করে জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ভাইদের মধ্যে তিনজনই সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত। বড় ভাই একটি জাতীয় দৈনিকের নির্বাহী সম্পাদক, অন্য দুজন যথাক্রমে চ্যানেল আই এবং অন্য একটি জাতীয় দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। ন্যায় বিচারের, জীবনের নিরাপত্তা সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছেন বলে বাদী পক্ষ জানিয়েছেন।