গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মাহশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল ইরান। এরপর এক মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও শান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরঞ্চ নতুন নতুন বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে নতুন করে শুরু হয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এখানে গত মাসে প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে ইরান। তবে সেখানে আবারও নতুন করে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে বিক্ষোভকারীরা।
প্রদেশটির জাহেদান শহরে হাজারো মানুষ এখন ‘খামেনির মৃত্যু চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহেদানে নতুন বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়লে পুলিশ কমপক্ষে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভে প্রায় আড়াইশ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে অন্তত ৩২ শিশু রয়েছে। এখনও আন্দোলন চলছে ইরানের ১১৪ শহর এবং ৮১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার বিক্ষোভকারীকে। তবুও আন্দোলনে ভাটা পড়ছে না। বিক্ষোভে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে রোববার থেকে ইরানের শিক্ষকরা দুই দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের উপর ইরানের নৃশংস দমন-পীড়ন নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মধ্যেই দেশটির এক ধর্মগুরু আরও কঠিন হাতে বিক্ষোভ দমনের আহ্বান জানিয়েছেন। কট্টরপন্থী ইমাম আহমদ খাতামি তেহরানে শুক্রবারের এক খুতবায় বলেছেন, বিচারব্যবস্থার উচিত ‘দাঙ্গাবাজদের’ মোকাবিলা করা।
যারা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং শত্রুর উদ্দেশ্য কায়েম করছে তারা যেনো আর দাঙ্গা করতে না পারে। তারা বাচ্চাদের প্রতারিত করেছে এবং তাদের বলেছে যে, তারা যদি এক সপ্তাহ রাস্তায় থাকে তবে এই শাসনের পতন হবে।