গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষন অভিযোগে মামলা হয়েছে সমন্বয়ক দাবি করা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাকিবুল হাসান আশিক (২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটে পূবাইল থানা এলাকার নীড় রিসোর্ট ও ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে। ধর্ষক আশিক নগরীর ৪১নং ওয়ার্ড বসুগাঁও ক্লাব এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।ভুক্তভোগী ছাত্রী এজাহার সূত্রে জানান, সমন্বয়ক আশিকের সাথে আমার দুই বছরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের গত ১৭ই জুলাই আমাকে বিয়ের কথা বলে গাজীপুর কোর্টে নিয়ে যায় এবং একটি স্টাম্পে উকিলের মাধ্যমে বিয়ের কথা বলে স্বাক্ষর নেয়,এবং জানায় তাদের বিয়ের দেনমোহর ৫ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে এরপর হতে আশিককে স্বামী হিসেবে মেনে নেই এবং তার ইচ্ছেমতো চলাফেরা করি আশিকের কথায় আমি বিশ্বাস করে পূবাইল থানা এলাকার বিলেসড়া নীড় রিসোর্ট ঢাকার উত্তরার বিভিন্ন হোটেলে তার সাথে অবস্থান করি ও শারীরিক সম্পর্ক করি।আশিকের সাথে দৈহিক সম্পর্কের এক বছর পার হয়ে গেলে তাকে আমি আমার বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে বললে আশিক আমার সাথে তালবাহানা করে এবং সময় কাটায়।বিষয়টি আশিকের পরিবারকে অবগত করলে তার চাচাতো ভাই সেলিম সোহেল ও বন্ধু ইমন আমাদের বাড়িতে আসে।বিয়ের কথা উপস্থাপন করলে তারা সময় নেয়। আশিক গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৫ :৩০ মিনিটে সময় আমার ভাবি ইয়ানূরের ফোনে আমাদের বাড়িতে আসে এবং আমাদের দুজনের অন্তরঙ্গ ও শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও দেখায়। প্রসঙ্গত আশিক পূবাইল থানার সমন্বয়ক দাবি করে ওই সকল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ার হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখায়। আশিকের ভয়ে আমার ভাবি ইয়ানূর তাকে এগুলো না ছাড়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেয়। এরপর থেকে ভুক্তভোগী আশিকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন খোঁজ মেলেনি। জানা যায় সে বাংলাদেশের যে কোন এক জায়গায় পলাতক রয়েছে।
মামলার কথা শিকার করে পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. আমিরুল ইসলাম জানান,সমন্বয়ক দাবি করা আশিকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।