আমরা কেউই নিরাপদ নই: এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, এমন একটি বিশ্বে আমরা বসবাস করছি যেখানে শিশুরা বোমায় মারা যাচ্ছে, আমি খোলাখুলি বলি যে, আমরা কেউই নিরাপদ নই।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে এই আহ্বান জানান।

এরদোগান তার বার্তায় জাতিসংঘের আসন্ন সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক সংহতি জোরদার করা, একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং ন্যায়সঙ্গত বৈশ্বিক ব্যবস্থার দিকে কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে তুলে ধরেন।

তিনি এই শীর্ষ সম্মেলনকে চলমান বৈশ্বিক সংঘাত, নিপীড়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবিলার একটি বিরল সুযোগ বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি গুতেরেসের উপস্থাপিত সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর আহ্বান জানান এবং একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য শান্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

এরদোগান সন্ত্রাসবাদ, জেনোফোবিয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জের গুরুতর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে গাজার পরিস্থিতি একটি মর্মান্তিক উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি যেখানে ১৭ হাজার শিশুসহ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং এক লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া গাজা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।

তুর্কি প্রসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলের দখলদারিত্বের নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের আরও জোরালো আওয়াজ তোলা অপরিহার্য। এমন একটি বিশ্বে আমরা বসবাস করছি যেখানে শিশুরা বোমায় মারা যাচ্ছে, আমি খোলাখুলি বলি যে, আমরা কেউই নিরাপদ বোধ করতে পারি না। তুর্কি হিসাবে, আমরা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে থাকব এবং আমরা এই মানবিক অবস্থান থেকে পিছপা হব না।

তিনি আরও বলেন, অবশ্যই আমাদের গণতন্ত্রকে সব প্রকার ঘৃণাত্মক বক্তব্য, বর্ণবাদ এবং চরম ডান আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়তে হবে যা আমাদের সমাজকে বিষাক্ত করে। এই সবে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ন্যায়বিচারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে পুনর্নির্মাণ করতে হবে আমাদের।