চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার মৌলভী পাড়ার পীর বাড়ির ফার্মেসী ব্যবসায়ী মো. জসীম উদ্দিনের ঘর থেকে চুরি যাওয়া ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার এবং হজ করতে যাওয়ার জন্য রাখা ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত নুরনবী সাকিব ও মো. আশিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর ও পশ্চিম বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনুমানিক সাড়ে ১৩.৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার কয়েকদিন পর রাতুল ও সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপ-কমিশনার আলী হোসেন (অতি. ডিআইজি) টাকা ও স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দেশ বর্তমানকে বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে ১১ জুন থেকে টানা ৩০ ঘণ্টা ঢাকা, কুমিল্লা এবং নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চুরির ঘটনায় জড়িত বাকি দুই মূলহোতা নুরনবী সাকিব (২৩) এবং মো. আশিকুর রহমানকে (২৫) গ্রেফতার করি। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা চুরি হওয়া ১৩৫ গ্রাম বা ১৩.৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ২ লাখ টাকা উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা পেশাদার চোর/ছিনতাইকারী। ঘটনার দিন আসামিরা পাশের বিল্ডিংয়ের কার্নিশ দিয়ে উঠে জানালার গ্রিল কেটে বাসায় প্রবেশ করে। পরে স্টিলের আলমারির ড্রয়ারের তালা ভেঙে বাদী দম্পতির হজে যাওয়ার জন্য রাখা নগদ ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ২৩ ভরি ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের অলংকার চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে চোরাই টাকা এবং স্বর্ণালংকার আসামি নুরনবী সাকিব এবং মো. আশিকুর রহমানসহ অস্ত্র মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেফতার হওয়া রাতুল এবং সালাউদ্দিন ভাগাভাগি করে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায়। মো. আশিকুর রহমান তার নিজ বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার এবং নুরনবী সাফিন ঢাকায় পালিয়ে যায়। আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছি। গ্রেফতার চোর চক্রের মূলহোতাদের মুখোমুখি করলে চুরি হওয়া বাকি স্বর্ণ ও টাকার রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।
ভুক্তভোগী মো. জসীম উদ্দিন দেশ বর্তমানকে বলেন, কিছু স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার হয়েছে। আশাকরি প্রশাসন বাকি টাকা ও স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করবে। আমি এবার হজে যেতে পারিনি। টাকা উদ্ধার হলে আগামীবার হজে যাব। এ ব্যাপারে সংশ্লিটদের সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকায় ‘হজে যাওয়ার স্বপ্ন ভাঙলো চোর’ শিরোনামে চুরির ঘটনাটি প্রথম খবর প্রকাশিত হয়। যা পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের টনক নড়ে।