কালীগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রাজমোহন বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূলে ভরা ভোটার তালিকায় বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন করার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, উপজেলার জামালপুর রাজমোহন বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নতুন কমিটি গঠনে লক্ষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফাইজ উদ্দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সমন্বয়ে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরী করার কথা থাকলেও নিজের ইচ্ছেমত গত ১৪ এপ্রিল ৭৮৯ জনের একটি চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। উক্ত ভোটার তালিকা পর্যালোচনা করে দেয়া যায় বিদ্যালয়ের সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি পদের জন্য প্রনিত ভোটার তালিকায় পুরুষ শিক্ষকদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। যা সম্পূর্ণ বিধিবর্হিভূত। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি প্রার্থী শাহিন আরা খানম ভোটার তালিকা সংশোধন করে পুনঃ তফসিলের জন্য গত ২৭ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক জোহরা বেগম এর নাম বাদ দিয়েই ভোটার তালিকা প্রকাশ করলে ২৭ মে ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তির কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেন। এছাড়াও উক্ত ভোটার তালিকায় ১৯ ও ৭৭৯, ৪৫ ও ৪৬, ১৫৪ ও ৪৫১ এবং ৩১৭ ও ৭৩৩ ক্রমিকে এক ব্যক্তিকে একাধিক বার ভোটার করা হয়েছে। একই ভোটার নাম্বারে অর্থাৎ ৬০৩ ক্রমিক মো. কাইয়ুম সরকার ও কুলসুম আক্তার দুইজনের নামের পাশেই ব্যবহার করা হয়েছে। এখন জনমনে প্রশ্ন ৬০৩ ক্রমিকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে কে?। এ সংক্রান্ত অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়ে অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিন, শান্তা বেগম ও আলমগীর সরকার প্রকাশিত ভোটার তালিকা সংশোধন করে পূনঃতফসিল ঘোষণা পূর্বক নির্বাচনের নতুর তারিখ ঘোষণার দাবী জানান। এমন অসংখ্য ভূলে ভরা প্রনিত ভোটার তালিকা নিয়ে এলাকাসহ উপজেলা ব্যাপী চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। এ নির্বাচন নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে রাজমোহন বিদ্যাপীট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফাইজ উদ্দিন বলেন, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি পদের জন্য প্রনিত ভোটার তালিকায় ভূলক্রমে পুরুষ শিক্ষকদের নাম বাদ পড়েছে। তাদের নাম ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হবে। বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক জোহরা বেগম এর নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে বলেন তিনি বিদ্যালয়ের ষ্টাফ কিন্তু শিক্ষক না হওয়ায় ভোটার তালিকায় নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এক ব্যক্তি একাধিক বার ভোটার হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন শ্রেণী শিক্ষকগণ শিক্ষার্থী অভিভাবকদের নামের তালিকা করেছেন। তা থেকে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ভোট দিতে আসলে আমরা তাদের এটি ভোটই নিব। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উজ্জাল কুমার সীল বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের প্রনীত ভোটার তালিকা হাতে পেয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনও স্যার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তার প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা। ভোটার তালিকা সংশোধন, নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল পরিবর্তন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমাম রাজী টুলু বলেন, জামালপুরের রাজমোহন বিদ্যাপীট উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি গঠণ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ।