চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগ (টপ সয়েল) কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করার ঘটনায় কারা দায়ী, তা খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী উজ্জল পাল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আব্দুল মুনাফ নামের স্থানীয় একজন স্থানীয় বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৯ মার্চ ‘টপ সয়েল’ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তবে সে আদেশের পরও ‘টপ সয়েল’ কাটা অব্যাহত থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয় এবং আদালত অবমাননার আবেদন জানানো হয়।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ এপ্রিল সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ চার জনকে অনলাইনে তলব করেন হাইকোর্ট। আজ দুপুর ১টার দিকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
পরে আদালত শুনানি শেষে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কাটার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন।
এদিকে মাটি কাটার বেপরোয়া ভাবে বেড়ে গেলে সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আহমদ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর গত ১৭ই এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং মাটি কাটা বন্ধে গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দিয়েও কেন সূরাহা তিনি করতে পারেননি।
জানা গেছে, তেমুহনী এলাকার চৌধুরী বাড়ি এলাকার সাবেক এক ইউপি সদস্য ও তার ভাই এবং সরকারদলীয় অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বে থাকা এক ইটভাটা মালিকের যোগসাজশে তেমুহনী এলাকায় করা হয়েছে ফসলি জমিতে বঙ্গোপসাগর।
অপরদিকে একই উপজেলার ৬নং এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের নেতৃত্বাধীন ইটভাটাগুলির আশেপাশে মাটি ও পাহাড় কেটে পরিবেশের বারোটা বাজানো হয়েছে।
এমনকি মানিকের নেত্বত্বে করা হয়েছে অসংখ্য বসতি উচ্ছেদ সর্বশেষ গেল মাসে বসতি উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয়দের সাথে মানিকের ভাই হারুনের সাথে তুমুল সংঘর্ষ হয়, ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় এক পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও বাঁশখালী থানায় করা হয়েছে ছনখোলা এলাকার কিছু অসহায় ও নিরীহ মানুষের নামে মামলা।