বাঁশখালীতে নৌকার প্রার্থীর ওপর হামলা, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির অভিযোগ
উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্বাচন চলাকালীন আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলা, ব্যবহৃত গাড়ী এবং প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের গাড়ী ভাংচুরসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা এবং আওয়ামী লীগ তথা নৌকা সমর্থিত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি, হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন।
সোমবার (৮ জানুয়ারী) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর বলেন, সারাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় থাকলেও বাঁশখালী আসনের নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের পক্ষে প্রশাসন নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত জেনে ভোট শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। যা নজিরবিহীন ঘটনা। এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করা হয় এবং এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা বলেন, বাঁশখালী থানার ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের ব্যাপারে শুরু থেকে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আরেকটি বিষয়, নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে আমাদের পার্টি অফিসে ঈগল ঈগল স্লোগান দিয়ে হামলা করা হয়েছে এবং উপজেলা ওলামা লীগ সভাপতি মাওলানা আক্তারকে নির্মমভাবে প্রহার করেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার।
এমপি কন্যা রাওকাতুন নুর চৌধুরী প্রিয়তা বলেন, সরলে আমার বাবার ওপর হামলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানানোর পর প্রশাসন প্রায় এক ঘন্টা পর এলেও আমার বাবাকে উদ্ধার করেনি। স্কুলের দরজা বন্ধ করে উল্টো আমার বাবাকে হামলার মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমি কন্যা হিসেবে এই ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। কারণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একমাত্র অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহেনা আক্তার কাজমী, বৈলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দীন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি রাওকাতুন নুর চৌধুরী প্রিয়াতা, শেখেরখীল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন ভুট্টো প্রমুখ।