ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দামামা বাজছে আরেক বিশ্ব আসরের। চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। আইসিসি এখনো ড্র প্রকাশ না করলেও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানা গেছে, কোন গ্রুপে কারা পড়েছে। বাংলাদেশ পড়েছে গ্রুপ ‘ডি’তে। যেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।
এদিকে, আবারও গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। গ্রুপ ‘এ’-তে তারা আছে আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে। ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। আর ‘সি’ গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।
বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের গ্রুপিং লক্ষ্য করলে গ্রুপ অব ডেথে পড়েছে বাংলাদেশ। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডসও টি-টোয়েন্টিতে বেশ শক্তিশালী দল। এ ছাড়া একমাত্র ‘ডি’ গ্রুপেরই চারটি দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরের পারফরম্যান্স ও র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে এবার সরাসরি সুযোগ পেয়েছে। সবশেষ আসরের শীর্ষ আটের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস। সুপার টুয়েলভে তারা হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা ‘ডি’ গ্রুপের একমাত্র দল হলো নেপাল। বাকি তিনটি গ্রুপেই আছে বাছাইয়ের লড়াইয়ে উতরে যাওয়া একাধিক দল।
ডি গ্রুপে শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা প্রোটিয়াদের পর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যে সবচেয়ে বড় লড়াইটা হতে পারে। লঙ্কানদের হারাতে পারলে সুপার এইটের পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। তবে নেদারল্যান্ডস ম্যাচটাও গুরুত্বপূর্ণ হবে টাইগারদের জন্য। বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ও গ্রুপ রানার-আপ হলে যুক্তরাষ্ট্রে সুপার এইটের ম্যাচগুলো খেলবে।
প্রথম পর্বের প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি করে দল চলে যাবে সুপার এইটে। সেখানে আটটি দল খেলবে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রথম পর্বের গ্রুপিং থেকেই ওই দুই গ্রুপের সম্ভাব্য একটি ধারণা পাওয়া যায়। কারণ, আগে থেকেই তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘এ-১’ ধরা হয়েছে ভারতকে, ‘এ-২’ ধরা হয়েছে পাকিস্তানকে। একইভাবে ইংল্যান্ড ‘বি-১’, অস্ট্রেলিয়া ‘বি-২’, নিউজিল্যান্ড ‘সি-১’, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘সি-২’, দক্ষিণ আফ্রিকা ‘ডি-১’ ও শ্রীলঙ্কা ‘ডি-২’ হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হওয়াতে নির্ধারিত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।
আগে থেকে নির্ধারিত অবস্থান অনুযায়ী, সুপার এইটের এক নম্বর গ্রুপে খেলবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এই গ্রুপের ম্যাচগুলো হবে যুক্তরাষ্ট্রে। দুই নম্বর গ্রুপে খেলবে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই গ্রুপের ম্যাচগুলো হবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে।
এই আট দলের বাইরে কোনো দল সুপার এইটে উঠলে তারা বাদ পড়া দলটির নির্ধারিত অবস্থান গ্রহণ করবে। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, সমর্থকদের আগে থেকে পরিকল্পনা করার সুযোগ করে দিতেই এমন পদ্ধতি। ক্রিকেটের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে অবশ্য এটি নতুন কিছু নয়।