জন্মদিনে দেশে ফিরলেন শাবনূর

নব্বই দশকের দাপুটে নায়িকা শাবনূর।  দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন তিনি।  তিন বছর পর সম্প্রতি দেশে এসেছেন নায়িকা।  রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দর্শকনন্দিত এই নায়িকার শুভ জন্মদিন।  জীবনের ৪৪ বসন্ত পেরিয়ে ৪৫-এ পা দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।  শুভ জন্মদিন শাবনূর।

শাবনূর জানান, পরিবার ও কাছের মানুষ ছাড়া ঢাকায় আসার খবরটা আপাতত কাউকে জানাতে চাননি তিনি।  পাশাপাশি দেশে কিছু কাজ জমে আছে এই নায়িকার।  তাই এই সুযোগে নিরিবিলি সেসব সেরে নিচ্ছেন শাবনূর।

জানা গেছে, নতুন সিনেমার কথাবার্তা চলছে শাবনূরের।  ইতোমধ্যে সিনেমার গল্পও শুনছেন।  প্রায় প্রতিদিনই বনানীতে একটি প্রযোজনা সংস্থার অফিসে নতুন গল্পের রিহার্সালের পাশাপাশি চলছে পরিচালকের সঙ্গে সলাপরামর্শ।  সিনেমায় শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করবেন মাহফুজ আহমেদ।  আর এটি নির্মাণ করবেন চয়নিকা চৌধুরী।

শাবনূরের পারিবারিক নাম কাজী শারমীন নাহিদ নূপুর।  ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।  ১৯৯৩ সালে প্রয়াত নির্মাতা এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার।  ১৯৯৪ সালে জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে সালমান শাহ’র বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন শাবনূর।  এই চলচ্চিত্রটির পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেত্রীকে।  একের পর এক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন ঢালিউডের এই ‘স্বপ্নের নায়িকা’।

২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধেন শাবনূর।  তবে বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ বছর ২৬ জানুয়ারি তাদের বিচ্ছেদ হয়।

সবশেষ ২০১৫ সালে ‘পাগল মানুষ’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল শাবনূরকে।  এরপর আর কোনো সিনেমায় উপস্থিত হননি দর্শকপ্রিয় এ তারকা।  সিনেমা থেকে সাময়িক দূরত্ব তৈরি হলেও এ অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাবনূর ১৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।  তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ভালোবেসে বউ আনবো’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘পৃথিবী তোমার আমার’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘আমি তোমারি’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘নারীর মন’, ‘এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘এ মন চায় যে’, ‘ফুল নেবো না অশ্রু নেব’, ‘দিল তো পাগল’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘শ্বশুর বাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘সুন্দরী বধু’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘নসিমন’, ‘ব্যাচেলর’, ‘ফুলের মত বউ’, ‘চার সতীনের ঘর’, ‘দুই নয়নের আলো’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘নিরন্তর, ‘আমার প্রাণের স্বামী’ ইত্যাদি।

২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাবনূর।  এছাড়া ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রের জন্য ২০০৩ সালে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন এই অভিনেত্রী।