মাটি কাটা ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ প্রশাসনের জিরো টলারেন্স পলিসি

শুকনো মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে যায় মাটি কাটার প্রবণতা।  চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাঝে ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এ সকল স্থানেও মাটি ও পাহাড় কাটার প্রবণতা দেখা যায়।  কিছু ভূমিদস্যু এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সকল কাজ গোপনে করে থাকে।

তবে এই মাটি কাটা ও পাহাড় কর্তনের বিরুদ্ধে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা প্রশংসনীয়।  বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়মিতভাবে এ ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন।  বিগত দুই মাসে চন্দনাইশে সর্বমোট ৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে এবং ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  যার প্রেক্ষিতে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা আতঙ্কে আছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, এ সময়টাতে মাটি কাটার ও পাহাড় কাটার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।  এর বিরুদ্ধে আমি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করছি।  অভিযোগ পেলেই তৎক্ষণাৎ অভিযান চালাচ্ছি।  গত দুই মাসে আমরা ৭টি মামলায় মোট ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।  আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান করছি।  দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক সময় আমরা দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে পায় না।  তদুপরি আমরা সবসময় মাটি কাটা এবং পাহাড় কাটার বিষয়ে তৎপর আছি।

এসিল্যান্ড বলেন, মাটি কাটা এবং পাহাড় কাটায় আমরা অত্র উপজেলায় “জিরো টলারেন্স” পলিসি অবলম্বন করছি।  দিন-রাত যখনই মাটি বা পাহাড় কাটার খবর আসছে আমরা তখনই অভিযান করছি।