এবার মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বন্ধ করছে তালেবান

আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের অধ্যয়ন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে তালেবানরা।  উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর এক চিঠিতে এ নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এ ঘোষণা আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় নারীর প্রবেশাধিকারকে আবারও সীমাবদ্ধ করল, কারণ তারা ইতোমধ্যেই বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাদ পড়েছে।

তিন মাস আগে আফগানিস্তানে হাজার হাজার নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিল।  তবে পশুচিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রকৌশল, অর্থনীতি এবং কৃষি এসব বিষয় অধ্য়য়নে তাদের ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এবং সাংবাদিকতা কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ ছিল।

গত বছর তালেবানদের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লিঙ্গভিত্তিক আলাদা শ্রেণিকক্ষ এবং প্রবেশপথ চালু করে।

সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী বলেন, তিনি মনে করেন তালেবানরা নারী ও তাদের ক্ষমতাকে ভয় পায়। ‘আমরা আমাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ার জন্য একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম।  অন্ততঃ ভেবেছিলাম যে আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব ‘

তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের শিক্ষা খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। জাতিসংঘে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড তালেবানের সর্বশেষ কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো তালেবান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য আফগানিস্তানে নারী শিক্ষার উন্নতিকে পূর্ব শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।

রবার্ট উড বলেছেন, তালেবানরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বৈধ সদস্য হওয়ার আশা করতে পারে না, যতক্ষণ না তারা সমস্ত আফগানদের অধিকারকে সম্মান করে- বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা।

গত নভেম্বরে তালেবান কর্তৃপক্ষ কাবুলের পার্কগুলোতে মহিলাদের নিষিদ্ধ করেছিল, দাবি করেছিল যে সেখানে ইসলামিক আইন মানা হচ্ছে না।