বগুড়ার শেরপুরে অবরোধে ক্ষতির মুখে দুগ্ধ খামারিরা

বিএনপি জামায়াতের ডাকা দিনের পর দিন চলমান অবরোধের প্রভাব পড়েছে বগুড়ার শেরপুরের দুগ্ধ খামারিদের উপর। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কায় কপালে ফুটে উঠেছে দুশ্চিন্তার রেখা।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুধের বাজার ঘুরে যে তথ্য পাওয়া যায় তা হলো,এই উপজেলায় ছোট বড় প্রায় তিন শতাধিক দই মিষ্টির কারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ২০/২৫ টি কারখানা রয়েছে যেখান থেকে প্রতিদিন দই মিষ্টি অন্যান্য জেলায় রপ্তানি করা হয়। এসব কারণেই এই এলাকায় বিপুল পরিমাণে দুধের চাহিদা রয়েছে। আরো রয়েছে ছোট বড় গরুর খামার। শেরপুর রেজিস্ট্রি অফিস ও পৌর শিশু পার্কের মাঠে দুধের এই বাজারটি প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন।

শুধুমাত্র শেরপুর নয় আশেপাশের উপজেলা থেকেও এই বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসে খামারীরা। বাজারে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মন দুধ বিক্রি হয়। অবরোধের পূর্বে সাধারণত ৫৫/৬০ টাকা প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হলেও অবরোধের কারণে বাজারে নেমেছে ধস। খামারিরা ধুতি বিক্রি করছে ৩০/৩৫ টাকা প্রতি লিটার।

জানা যায়, দই মিষ্টি অন্যান্য জেলাতে সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানায় উৎপাদন কমে গেছে। ফলে আগের মত বেশি পরিমাণে দুধ কিনছেন না তারা। এভাবে অবরোধ চলতে থাকলে দুধের বাজার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে শঙকা প্রকাশ করছেন খামারিরা।

সাইফুল ইসলাম নামে এক খামারি বলেন, পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারে প্রতিটি ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য বাবদ প্রতিদিন তিনটি গাভী থেকে গড়ে ২৫ লিটার দুধ পাই। যার বর্তমান বাজার মূল্য সাড়ে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা। এই তিনটি গাভী এবং বাছুরের পিছনে খরচ হয় প্রায় ৮০০ টাকা। এরপর নিজের সংসার রয়েছে। অবরোধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই দুধ বিক্রি করে গরুর খাদ্য কেনা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে খামার টিকিয়ে রাখার জন্য ঋণ করতে হবে।

শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রায়হান পিএ জানান, প্রাণিসম্পদ টিম প্রতিনিয়ত খামারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে তাদেরকে উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।