বাসার সামনে পুলিশ ব্যারিকেডকে খালেদা জিয়ার ওপর নির্যাতনে আরেকটি নতুন মাত্রা দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এমনিতেই বন্দি করে রাখা হয়েছে, তারপর একের পর এক বন্দিত্বের ঘেরাটোপে তাকে (খালেদা) আরও কঠোরভাবে বন্দি করে রাখার পাঁয়তারা চলছে।’
রোববার (৪ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রিজভী অভিযোগ করেন, ‘রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিনবাজার থেকে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের নেতাদের তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের কোনো খোঁজ দেয়নি।’
অনিবার্য পতন ঠেকাতে সরকার জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের জনসমাবেশ বানচাল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্তর্ঘাতমূলক কাজে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এক সর্বনাশা খেলা শুরু করেছে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেররা।’
তিনি বলেন, ‘টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, টাকা পাচার ও ভূমি দখলের মতো অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। কারণ অবৈধভাবে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় ওরা আগামী দিনের বিচারের হাত থেকে বাঁচতেই ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। তাই ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশকে শেখ হাসিনা নিরাপদ মনে করছেন না। র্যাব-পুলিশকে দিয়ে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ধ্বংসের কাজ করেছেন।’
তিনি খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে চেকপোস্ট ও ব্যারিকেড বসানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসঙ্গে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও নয়নকে কোথায় রাখা হয়েছে, তা তাদের পরিবারের কাছে জানানোর আহ্বান জানান।