আজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বরণে এরইমধ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে ভাঙ্গা। দুপুরে ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকে ট্রেনে চড়ে স্বপ্ন জয়ের পদ্মাসেতু পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গা রেল জংশনে পৌঁছাবেন। সেখানে প্রেস ব্রিফিং শেষে ভাঙ্গার জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। বাংলাদেশকে বদলে দেয়া উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনাকে স্বচক্ষে এক নজর দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। এরইমধ্যে ভাঙ্গায় জনসভার মঞ্চ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। ভাঙ্গা রেল জংশনেও সুধী সমাবেশের মঞ্চ সম্পন্ন হয়েছে। জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। ভাঙ্গার জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সড়কের সংস্কার ও সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে।
জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। এসএসএফ, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
এদিকে, পদ্মা সেতু হয়ে দৃশ্যমান ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার। এই পথে আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া প্রস্তাব করেছে রেলওয়ের কমিটি। কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী নন-এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৩৫০ টাকা এবং এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৬৬৭ টাকা হতে পারে। রেলওয়ের দায়ীত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবটি বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রস্তাবিত ভাড়াই অনুমোদিত হতে পারে।
জানা গেছে, ভাড়া প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে প্রতিটি গন্তব্যের দৃশ্যমান দূরত্বের সঙ্গে পদ্মা সেতু ও গেন্ডারিয়া-কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়াল রেলপথের জন্য বাড়তি দূরত্ব যোগ করেছে রেলওয়ের প্রস্তাব কমিটি। প্রস্তাব অনুযায়ী পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার, গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে ৫ কিলোমিটার ধরা হয়েছে। বিষয়টিকে রেলওয়ে পন্টেজ চার্জের জন্য বাড়তি দূরত্ব বলছে। এ জন্যই ঢাকা থেকে ভাঙ্গার প্রকৃত দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার হলেও রেলওয়ে দেখিয়েছে ৩৫৩ কিলোমিটার দূরত্ব। ফলে আনুপাতিক হাতে বেড়ে গেছে ওই পথের ভাড়াও।
বর্তমানে রেলে পয়েন্ট চার্জ নির্ধারণের সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নেই। তাই তারা সব দিক বিবেচনা করে প্রস্তাবিত কমিটি পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারের জন্য বাড়তি ২৫ কিলোমিটার যোগ করার প্রস্তাব করছে। পাশাপাশি উড়ালপথকে সেতু বা ভায়াডাক্ট ধরে প্রতি কিলোমিটারকে বাড়তি ৫ কিলোমিটার বিবেচনা করেছে। ভবিষ্যতে সব নতুন সেতু ও ভায়াডাক্টের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির প্রতিবেদনে। কমিটির প্রতিবেদনে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুকে ১৫৪ কিলোমিটার রেলপথ হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আর ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার উড়ালপথকে ১১৫ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে।