বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সীমিত পরিসরে আলু আমদানির সুপারিশ করেছে। কিন্তু এর বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, আমদানির প্রশ্নই ওঠে না। দেশে এখনো যে আলু আছে, তা দিয়ে আরও দুই মাস চলবে। আর নভেম্বরে আগাম আলু বাজারে উঠতে শুরু করবে। দেশে কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি দেয়া হলেও আলুর ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি দরকার হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি এলাকায় আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে অনেক জায়গাতেই আলু তুলে বাজারে আনার প্রস্তুতি চলছে। তবে আগাম জাতের আলু পুরোদমে বাজারে উঠবে নভেম্বরে। এরপর অন্যান্য জেলার আলু ওঠা শুরু হবে। তাই আলু আমদানির দরকার নেই।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশে যথেষ্ট পরিমাণে আলু আছে। যারা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন, তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর আগামী মাসে বাজারে নতুন আলু উঠবে।
কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ভোক্তা অধিদপ্তরের সুপারিশে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সীমিত আকারে আলু আমদানির অনুমতি দেয়া যেতে পারে। এছাড়া হিমাগার, ব্যাপারী, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যাঁরা অস্থিরতা তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অথচ কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ বছর দেশে আলু উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ টন, যা চাহিদার তুলনায় ২৫ লাখ টন বেশি। সে জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় চলতি বছর ১ লাখ ২০ হাজার টন আলু রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। যদিও এ বছর রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩৬ হাজার টন। গত মাস থেকে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি হিসাবে, এখনো হিমাগার ও কৃষকের গুদামে ১৫ লাখ টন আলু আছে।