শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না চিকিৎসা নিতে আসা সেই বানরটিকে

সীতাকুণ্ডে চিকিৎসার জন্য বারবার হাসপাতালে ছুটে আসা সেই বানরটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে বানরটির মৃত্যু হয়।

এর আগে চিকিৎসায় বানরটির অবস্থা বেশ কিছুটা উন্নতি হলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলে তার অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। বৈদ্যুতিক শকে মারাত্মক অসুস্থ হলে তাকে চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

জানা যায়, বানরটিকে গত বেশ কিছুদিন ধরে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এ সময় মানুষরা তাকে কলা, বাদাম ও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি খেতে দিলেও বানরটি খাওয়ার প্রতি কোন আগ্রহ দেখাচ্ছিলো না। আগে থেকেই কিছুটা দুর্বল ও অসুস্থ ছিল বানরটি। একপর্যায়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির উপর থেকে নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, গত চার সেপ্টেম্বর বানরটিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আনার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এটিকে ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যেহেতু প্রাণি রাখার কোন স্থান নেই তাই এটিকে চিকিৎসা দেওয়ার পরে আবার আমাদের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বানরটির চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসা দেওয়ার পর ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর বানরটিকে অনেকটা সুস্থ দেখা যায়। সে স্বাভাবিকভাবে হাটাহাটি করে ও স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া দাওয়া করে।

কিন্তু ৭ তারিখ থেকে সে হঠাৎ খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। তখনই আমরা এটিকে আবারো এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাই। সেখানে তাকে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। অনেক চেষ্টা করেও তাকে মুখে কিছু খাওয়ানো যাচ্ছিল না। জোর করে কিছুটা খাওয়ানোর চেষ্টা করলে সে বমি করে দেয়। এরপর ক্রমান্বয়ে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে আজ শুক্রবার দুপুরে বানরটির মৃত্যু হয়।