টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের ৬টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে এ ভাঙন শুরু হয়। প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, উত্তর বরইয়া, বিজয়পুর, দক্ষিণ বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর ও সাহাপাড়া।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে আছেন মানুষ।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ বছর অনেকটা দেরীতে বর্ষার আগমন হলেও চলমান মৌসুমি বায়ু সমানতালে সক্রিয় থাকায় বর্ষার ঘনঘটা এখনও জোরালো রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। সপ্তাহ আগেও বৃষ্টিহীনতায় এ অঞ্চলের কৃষকদের আমন ধানের চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টিতে উল্টো ফসল ও মাছের ঘের প্লাবিত হওয়ার দুশ্চিন্তায় কৃষক আর মাছচাষিরা।
স্থানীয় রবিউল হক বলেন, প্রতিবছর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ঘরবাড়ি, মৎস্য ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবারও নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
আবহাওয়া সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, আগামী আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত শ্রাবণের বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। যদি এ অবিরাম বৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে মুহুরী নদী আরও ফুলে-ফুঁসে উঠতে পারে।
বন্যার প্রস্তুতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানান, মহুরী নদীর পানি বাড়াতে বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসন পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
এমএইচএফ