বিএনপির গঠনতন্ত্রে সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতা হওয়ার বিধান না থাকলেও দলটির মূল পদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি কেন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) ৫৯ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
জেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনকল্যাণমূক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মানুষের উন্নয়নে কী কী কাজ করা যায় সেটা আপনাদের ভাবতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। অনেকে বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তখন আপনার দায়িত্ব সকলের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা’।
বিএনপির অপপ্রচারে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচার চালানোই বিএনপির চরিত্র।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গ্রামের মানুষও যেন শহরের সুযোগ-সুবিধা পায় সেজন্য তার সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের সব মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
এর আগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী। আর জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইব্রাহিম।
গত ২৩ আগস্ট তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর ৫৭টির ভোট হয় ইভিএমে। নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন নারী সদস্য ও ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। সব কয়টি পদে একক প্রার্থী থাকায় ভোলা ও ফেনী জেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। আর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদের ভোট স্থগিত হয়।