স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (বাংলাদেশ সময় আজ রাতে) অনুষ্ঠিতব্য কংগ্রেসের এ নির্বাচনে রিপাবলিকানরা ভূমিধস বিজয় পেতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণ শেষ হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে বিভক্ত সরকারের স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনসর্মথন হ্রাস, উচ্চ মুদ্রাম্ফীতি, রেকর্ড অভিবাসীর আগমন এবং ক্রমবর্ধমান সহিংস অপরাধের মধ্যে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা নিজেদের ঘাঁটিতেও পরাজিত হতে যাচ্ছে বলে জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটরা গত গ্রীষ্মেও ভোটের ব্যবধানকে সংকুচিত করেছিল এবং এবার তারা তীব্র প্রতিযোগিতার আশা করেছিল। তবে ভোটের ঠিক আগে গতিবেগ ঘুরে গেছে বলে মনে হচ্ছে। রিপাবলিকানরা একটি ‘লাল ঢেউ’-এর আশা করছে। তারা আত্মবিশ্বাসী- প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস) এবং সম্ভবত সিনেটেরও নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে।
কংগ্রেসের যে কোনো একটিতে নিয়ন্ত্রণ হারালে আইনসভায় বাইডেনের এজেন্ডা পাস মারাত্মক বিঘ্নিত হবে। বর্তমানে উভয় কক্ষে তার দল ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
হাউসের ৪৩৫টি আসনের সবক’টি, ১০০ আসনের সিনেটের ৩৫টি এবং ৩৬টি গভর্নর পদে আজ ভোট হবে। রিপাবলিকানদের হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে বাড়তি ৫টি আসন এবং সিনেট নিয়ন্ত্রণ নিতে মাত্র ১টি আসন প্রয়োজন।
নির্দলীয় জরিপগুলো বলছে, রিপাবলিকানদের হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সিনেটের নিয়ন্ত্রণের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে নির্বাচনের ফল পাওয়া যেতে পারে।
১৯৩৪ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের দল হেরেছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটের আগে চূড়ান্ত প্রচারে অংশ নিয়েছেন। রোববার (৬ নভেম্বর) নিউইয়র্কে প্রচারাভিযানে বাইডেন এবারের ভোটকে ‘পরিবর্তন বিন্দু’ বলে অভিহিত করেছেন, যা পরবর্তী ২০ বছর দেশটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। অন্যদিকে ফ্লোরিডার জনসভায় ট্রাম্প বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা আমেরিকাকে কমিউনিস্ট কিউবা বা সমাজতান্ত্রিক ভেনিজুয়েলায় পরিণত করতে চায়।
নির্বাচনের আগে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ভোটার অর্থনীতিকে তাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র বিপদের মধ্যে রয়েছে। এজন্য বেশিরভাগ ভোটারই বিরোধীদল রিপাবলিকান পার্টিকে প্রধান হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বাইডেনের যুক্তি, এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য এক অগ্নিপরীক্ষা। তার সে কথার সঙ্গে একমত এমন লোকের অভাব নেই, বিশেষ করে সেই সব রিপাবলিকান, যারা ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভীত।
রিপাবলিকান নির্বাচনী কৌশলবিদ স্টিভ স্মিথ এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, সামনে বিপদ আসছে।