আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা প্রায় দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিলে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।
এর আগে করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে পিছিয়ে গিয়েছিল পরীক্ষা। সেই ধাক্কা সামলিয়ে গত বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগের মতো ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হয়। তবে এবার আগামী বছরের দুই পরীক্ষা পেছানোর খবর পাওয়া গেল।
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও মাস দুয়েক পিছিয়ে যাচ্ছে। এসব পরীক্ষা জুন মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করতে কেউ রাজি হননি।
ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা হবে এমনটি ধরে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিল শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই লক্ষ্যে এখন স্কুলগুলোতে চলছে নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তবে কী কারণে পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এ জন্য ঠিকমতো পাঠ্যসূচি শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও আবেদন আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর এইচএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর ৩১ মার্চ উদযাপন হতে পারে। আর পবিত্র ঈদুল আজহা হতে পারে আগামী বছরের ৭ জুন।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে এ পরীক্ষা হবে। আর ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে ২০২৩ সালের মতো সংক্ষিপ্ত বা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে। তবে পরীক্ষা হবে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে।