‘হরতালার আর অবরোধ শুরু চলছে। কাজ কামে টান ধরেছে। আসছি, আর চলে যাচ্ছি, কাম হচ্ছে না,এমনি ভাবে আক্ষেপের সাথে বলেন, কামরুল ইসলাম ও চান মিয়ারা’।
গতকাল ভোরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত শ্রমিক, দিনমজুরীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাসিন্দা। আবার কেউ কেউ এদের মধ্যে দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছে কাজের সন্ধানে।
তাদের দাবি, এমনিতেই প্রতিদিন কাজ হয় না, তারপরে আবার হরতাল অবরোধ। এসব দিনে মানুষ খুব একটা কাজ করতে চায় না।
জেলার দামুড়হুদা উপজেলা পার কৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সড়াবারিয়া গ্রামের মনিরুল, জামাত আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলার চিতলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের নবীছদ্দী হুদা। একই ইউনিয়নের চিতলা গ্রামের আরমান, রাজিব দে কে শহরে বিভিন্ন স্থানে বসে থাকতে দেখা যায়। তারা প্রতিদিন ডালি-কোদাল,হ্যসো, নিড়ানি সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে আসে।
এই মানুষগুলো শ্রম বিক্রি করে তাদের সংসার চালায়। নির্মাণ কাজ, রাজমিস্ত্রির, সবজি খেতে কাজ করা, বস্তা টানা, মাটিকাটা থেকে শুরু করে নানা কাজ করেন। তারা এমনিভাবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বসে থাকে। শহরের মতো একই দৃশ্য পট গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা যায়। হরতাল- অবরোধের কারণে তাদের ঠিকঠাক কাজ হচ্ছে না তাই বেশিরভাগ দিনই তাদের শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়।
দিনমজুর শ্রমিকরা গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৪০ জন কাজ করতে আসেন। নিজেদের কাজ করাবেন এমন মালিকরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা জন প্রতি মজুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের কাজে নেন। এখানে আশা শ্রমিকদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রতিদিন কাজ পান। তবে অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের কাজে ভাটা পড়েছে।
তারা বলেন, এখন অল্প কয়েকজনের কাজ হচ্ছে। বাকিরা বেকার থেকে যাচ্ছে। শ্রমিক আরমান হোসেন বলেন, সংসার চালাতে আমার হিমসিম খেতে হচ্ছে। হরতাল অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে কাজ নেই। এ অবস্থায় সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। বাড়ি থেকে বের হই, দো ভরসায়। কাজ হলেও হতে পারে আবার নাও হতে পারে। কাজ না হলে আবার পুনরায় বাড়ি ফিরে আসতে হয়।