মহামারি করোনাভাইরাস আর ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের কথা ভোলেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের উদ্যোগের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার হার কমেছে।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
শিক্ষাই দারিদ্র্য মুক্তির প্রধান হাতিয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতের কোনো সরকার শিক্ষার জন্য তেমন কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার সোনার বাংলা গড়ার জন্য শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে- মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মুখস্থ পড়ার পাশাপাশি মেধা বিকাশে উপযুক্ত চিন্তার সুযোগ দিতে হবে। সবার জন্য নতুন নতুন জ্ঞান ও গবেষণার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে বহুমুখী শিক্ষা পায়, সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বছর থেকে প্রাক-প্রাথমিক কার্যক্রম এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কোনো বই দেয়া হবে না। তারা শুধু স্কুলে যাবে এবং হাতের বিভিন্ন কাজ শিখবে। অঙ্কন করবে। খেলাধুলা করবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী প্রযুক্তিজ্ঞানে স্মার্ট হবে।
ছেলে-মেয়েদের আন্তরিকতার সঙ্গে গাইড করলে তারা দক্ষ হয়ে উঠবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শীত আর ডেঙ্গু বিষয়ে সতর্ক থাকতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ শিক্ষার্থীকে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ কোটি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল রোববার (১ জানুয়ারি) নতুন ইংরেজি বছরের প্রথম দিন থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী পর্যায়ক্রমে নতুন বই হাতে পাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় পাঠ্যবই উৎসব উদযাপন করবে।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আয়োজন করা হবে প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ের কেন্দ্রীয় উৎসব।