সেমির লড়াই থেকে ছিটকে গেলো আফগানিস্তান

বাছাই পর্ব উতরে এসেও বিশ্বাকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগই পায়নি আফগানরা। বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই ম্যাচ মাঠে নামার সুযোগ না পেয়ে হতাশাও পেয়ে বসেছিল দলটির খেলোয়াড়দের মধ্যে। তৃতীয় ম্যাচে এসে শ্রীলংকার বিপক্ষে তাই ভালো শুরুর পরও শেষটা ভালো করতে পারেনি মোহাম্মদ নবীর দল। হার নিয়েই ছাড়তে হয়েছে মাঠ।

সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে প্রথম দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট পাওয়া আফগানিস্তানের কাছে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। শ্রীলংকার সমীকরণটাও তেমনই। জয় ছিনিয়ে নিয়ে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল লঙ্কানরা। অন্যদিকে এই হারের কারণে বিশ্বমঞ্চ থেকে ছিটকে গেল মোহাম্মদ নবির দল।

ব্রিসবেনে রশিদ খানদের ছয় উইকেটে হারিয়েছে দাসুন শানাকার শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-১ এর তিনে উঠে গেলো শ্রীলঙ্কা। অপরদিকে চার ম্যাচে মাত্র একটি জয় ও দুই পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শেষে অবস্থান করছে আফগানিস্তান। সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দুইয়ে ওঠা হবে না তাদের।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে দলটি। জবাবে ১৮.৩ ওভারে শ্রীলঙ্কা লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ৬ উইকেট হাতে রেখেই। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটেই নবির দলের সংগ্রহ ছিল ৪২ রান। এরপর রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান লাহিরু কুমারা। ২৪ বলে ২৮ রান করেন গুরবাজ।

১০ ওভারের চা বিরতি থেকে ফিরেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার শিকার উসমান ঘানি; ২৭ বলে ২৭ করেন এই ওপেনার। দলীয় ৯০ রানের সময় ২২ রানে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান। নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। ১২ করে রানআউটের ফাঁদে পড়েন গুলবাদিন নাইব। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবির ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। রশিদ ফিরেছেন ৯ রানে। মাত্র ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২ উইকেট পান লাহিরু কুমারা।

বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় ওভারেই পাথুম নিসাঙ্কাকে তুলে নিয়ে আশার পালে জোর হাওয়া দিয়েছিল আফগানরা। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৪২ রানে কুশল মেন্ডিস ফিরলেও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা খেলেন ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। মূলত তার এই ইনিংসের ওপর ভিত্তি করেই শ্রীলঙ্কা তুলে নেয় ৬ উইকেটের জয়।