সেন্টমার্টিন থেকে দেখা যাচ্ছে  মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ

সেন্টমার্টিন থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ। গত এক সপ্তাহ ধরে একই জায়গায় জাহাজগুলো নোঙর করে আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে আতঙ্কে দিন পার করছেন দ্বীপবাসী। সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জাহাজ থেকেই মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে ভারী গোলাবারুদ এবং মর্টার শেল ছোড়া হচ্ছে। এ কারণে আতঙ্কিত দ্বীপের বাসিন্দারা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মো. কাসেম বলেন, এর আগে এত কাছে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ কখনো দেখা যায়নি। আমাদের জলসীমায় এই জাহাজগুলো অবস্থান করছে এবং আরও কয়েক দিন জাহাজ নিয়মিত চলাচল করেছে। এই জাহাজগুলো থেকে ওরা মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ করে। গোলাগুলির আওয়াজ শুনি, এ কারণে অনেক ভয় পাচ্ছি।

 

সেন্টমার্টিন জেটিঘাটের পাশে বাজারের দোকানদার রহমান  উল্লাহ বলেন, আমাদের জলসীমায় জাহাজের অবস্থান। আমি কিছুদিন আগে টেকনাফ থেকে আসার পথেও এ রকম কাছে দেখিনি। আমরা অনেক বেশি আতঙ্কে আছি। ভয় পাচ্ছি কখন কী হয় জানি না। রহমান উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশকে তারা পরোয়া করে না। আমাদের জলসীমায় মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ চলে এসেছে। মানুষ যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে। আমরা গোলাগুলির শব্দ প্রতিদিন শুনতে পাচ্ছি।

 

সেন্টমার্টিনের বিচকর্মীদের সুপারভাইজার জয়নাল  বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ দেখা যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান করছে কি না আমরা জানি না। এগুলো নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ড বলতে পারবে। তবে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজের ব্যাপারে। এদিকে নাফ নদীতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নৌযান লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় ৯ দিন জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার পর গতকাল বিকল্পপথে ভোগ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সরকারি-বেসরকারি ১৫০ টন মালামাল নিয়ে একটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে।

 

গতকাল দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এমভি ‘বারো আউলিয়া’ নামে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় জাহাজটিতে দেড় শতাধিক লোক ও সরকারি সহায়তায় খাদ্যপণ্য এবং পাঁচটি কোরবানির গরু রয়েছে।