বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা শুরু থেকেই ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটিকে আত্মহত্যা বলা হলেও, সুশান্তের পরিবার তা মেনে নেয়নি। বরং তাদের তরফ থেকে বার বার বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে এবং ক্ষমতাশালীরা তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ঢাকার চেষ্টা করেছেন। তারা আঙুল তুলেছেন সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর দিকেও।
সুশান্তের মৃত্যু হয়েছিল ২০২০ সালের ১৪ জুন। এই মৃত্যুর ঘটনা এখনও দগদগে ঘা’র মতোই রয়ে গেছে অভিনেতার অনুরাগীদের মনে।
সুশান্তের মৃত্যুর কারণ কী, তিনি কি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে- এসব প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর এখনও মেলেনি। এরইমধ্যে এলো বড় খবর। ময়নাতদন্তকালে উপস্থিত এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
ওই ব্যক্তির নাম রূপকুমার শাহ। সুশান্তের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
রূপকুমার জানিয়েছেন, ‘ওইদিন পাঁচটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়। আমরা শুনেছিলাম, তার মধ্যে একটি নামজাদা কারও। আমরা ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি, সেটি সুশান্তের দেহ। ওর সারা গায়ে বেশ কিছু চিহ্ন ছিল। গলা-ঘাড়ের কাছেও তিনটি দাগ ছিল। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ড হওয়ার কথা। কিন্তু উচ্চপদস্থরা বলেন, শুধু স্টিল ছবিই তোলা হবে। আমরা সেভাবেই কাজটি করি।’
রূপকুমার আরও জানিয়েছেন, ‘আমি যখন প্রথম সুশান্তের মৃতদেহ দেখি, আমার মনে হয়, এটি মোটেই আত্মহত্যা নয়, ওকে খুন করা হয়েছে। আমি সে কথা আমার উচ্চপদস্থকে জানাই। তারপর ঊর্ধ্বতনরা আমাকে বলেন, দ্রুত ছবি তুলে কাজ সেরে মৃতদেহ পুলিশকে দিয়ে দিতে। তাই শুধুমাত্র রাতেই আমরা ময়নাতদন্ত করতে পেরেছিলাম।’