সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ব্যবসায়ী হত্যার দুই জন আসামী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর সদরের নলুয়া গ্রামের বটতলা এলাকার  চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী রইস উদ্দিনের হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও দুই জন হত্যাকারী গ্রেফতার, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু এবং ভিকটিমের লুন্ঠিত মোবাইল, ট্রাউজার ও লুঙ্গি  উদ্ধার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। (২১ শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টার সময় শাহজাদপুর জনের এডিশনাল পুলিশ সুপার জনাব কামরুজ্জামান এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেন।  আটককৃত আসামীরা হলেন, শাহজাদপুর পৌরশহরের নলুয়া বটতলা গ্রামের  মোঃ মামুন (২৮) পিতা- আজিজ  মন্ডল, এবং  আসামী  জয়নাল শেখ (৫০), পিতা- মৃত রানু শেখ একই থানার ,জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের।  এবং  তাদের দেখানো মতে টয়লেট হতে ভিকটিম রইস এর ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন, আসামী মামুনের বাড়ি হতে রইসের ট্রাউজার এবং রইসের বাড়ির পাশের ডোবা হতে রক্তমাখা লুংগি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে।  আসামী মোঃ মামুন ও মোঃ জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মামুন পেশায় রাজমিস্ত্রী।  জয়নাল ভবঘুরে টাইপের মানুষ। আসামী মামুন ও জয়নাল মাঝে মাঝে ভিকটিম মৃত রইস এর দোকানে বসে আড্ডা দিত। আসামী মামুন, জয়নাল ও ভিকটিম রইস পূর্ব পরিচিত।  আসামী মামুন ও জয়নাল এর কাছে টাকা না থাকায় তারা ব্যবসায়ী রইসের টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী মামুন শাহজাদপুর থেকে একটি চাকু ক্রয় করে। এরপর ইং ০৩/১১/২৪ তারিখ রাত ১০ টা থেকে তারা রইস কে অনুসরন করতে শুরু করে। একই তারিখ রাত আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় রইস বাড়ি যাওয়ার পরে রাত আনুমানিক ১১.৫০ ঘটিকায় আসামী মামুন এবং জয়নাল রইসের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে রইস কে ডাক দেয়। রইস বাহিরে বের হলে আসামী জয়নাল রইস কে চেপে ধরলে রইস মাটিতে পড়ে যায়। আসামী মামুন রইস কে জবাই করে হত্যা করে এবং রইসের ঘরের তোষকের নিচে থাকা ১৬,০০০/- টাকা আসামী মামুন  নেয়। এরপরে রইসের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল এবং রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে দেয়। মামুনের রক্তমাখা লুংগি এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু বাড়ির পাশে ডোবাতে ফেলে দেয়।  এরপর মামুন রইসের লাশ একটি বস্তার মধ্যে ডুকায়ে আসামী জয়নালের সহায়তায় জনৈক শফিকুলের ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর মামুন নিজে ১০,০০০/- টাকা নেয় এবং জয়িনাল কে ৬০০০/- টাকা দেয়। এরপর তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে।