সাংবাদিক মোজাহিদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা : গাজীপুরে তীব্র নিন্দা

গাজীপুরের বাসন থানায় মামলা নং–৩৪১ (বাদী: ভিলা দত্তপাড়া মোল্লা রোড এলাকার মো. সোহেল মিয়া) দায়ের করা হয়েছে দৈনিক নয়া দিগন্তের গাজীপুর প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) ও গাজীপুর সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি মো. মোজাহিদের নামে। সাংবাদিক সমাজ বলছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা।সোমবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও বার্তায় মোজাহিদ বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্ররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন করেছিল, তখন সংবাদ পরিবেশন করতেও তাকেও একাধিকবার হামলার শিকার হতে হয়েছে। অথচ আজ তার নামেও জুলাই হত্যা মামলা দেওয়া হলো। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নিরীহ মানুষের নামে দেশের প্রতিটি থানায় যে মিথ্যা মামলা হয়েছে, তা কার স্বার্থে? তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন—তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তিনিই সবার আগে বিচারের দাবি করবেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলার আমীর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই—সাহসী সাংবাদিক মোজাহিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি এবং মিথ্যা মামলা বাতিল করে মোজাহিদকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। মোজাহিদ শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক সাহসী কণ্ঠস্বর।” গাজীপুর সাংবাদিক পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শাহান সাহাবুদ্দিন বলেন, সত্য প্রকাশের পথ রুদ্ধ করতে সাংবাদিকদের বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। মোজাহিদের মতো নিষ্ঠাবান সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলা আসলে সাংবাদিক সমাজকে ভয় দেখানোর কৌশল। অতীতেও তার নামে মামলা হয়েছে, তবুও তিনি দুর্নীতির সংবাদ জাতিকে উপহার দিয়ে গেছেন। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। দৈনিক ইনকিলাবের শ্রীপুর প্রতিনিধি এমএ মতিন বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব। অথচ সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

মোজাহিদের ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা বলেন, সত্য প্রকাশে তিনি কখনো পিছপা হননি। তিনটি মামলায় দীর্ঘ ২১৯ দিন কারাবরণ করেছেন। আহত হয়েও মাঠে ছিলেন। এবারের মামলাটিও সাজানো ছাড়া কিছু নয়। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মূখ্য সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাছের জানান, মোজাহিদ একজন পেশাদার সাংবাদিক ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে মানুষ। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সম্ভব নয়। শ্রীপুর থানার ওসি আব্দুল বারিক বলেন, বাসন থানায় একটি জুলাই হত্যা মামলা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব একজন উপপরিদর্শককে দেওয়া হয়েছে এবং আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।