বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শুধুমাত্র বিরোধী দলকে দমন করার জন্য আবারও গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করা হচ্ছে। নিজেদের কর্তৃত্ববাদী শাসন পাকাপোক্ত করতেই বিরোধী মতের নেতাকর্মী ও জনগণের ওপর হিংস্র আচরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। বিভিন্ন বাহিনীকে অন্যায়ভাবে নিজেদের হীন স্বার্থে ব্যবহার করে সরকার তাদেরকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে।
তিনি বলেন, এদেশে আজ কারও জীবন নিরাপদ নয়। মানুষ আজ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কাল্পনিক ও গায়েবি মামলা দায়েরের ঘটনা নিত্য ঘটছে। কিন্তু হামলা-মামলার মাধ্যমে বিএনপিকে ধমিয়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। বিএনপি কোন সময় আপোষ করেনি। এসব বানোয়াট মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে পারবে না।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের এবং নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত এই সমাবেশের আয়োজন করে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের পথচলা পলোগ্রাউন্ড থেকে শুরু হয়েছে। গণতন্ত্র যখন ফিরে আসবে, খালেদা জিয়া মুক্ত হবে, তারেক রহমান দেশে ফিরবে এবং গণতান্ত্রিক সরকার ফিরে আসবে তখন এই লড়াই পূর্ণতা পাবে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। বাংলাদেশের জনগণকে এই সরকারের দরকার নাই। ভোটেই যেখানে নেই, সেখানে জনগনের দরকার কেন। সরকারি জমি বন্দক দিয়ে টাকা নিচ্ছে। ব্যাংক দেউলিয়া হচ্ছে। আর কেউ সেকেন্ড হোম করছে, বেগম পাড়ায় বাড়ি বানাচ্ছে, সুইস ব্যাংকে টাকা রাখে। একটা দলের জেলার একজন নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে নিয়ে জনগনের টাকা লুটপাট করে নিজেরা মোটাতাজা হয়েছে। মাথাপিছু আয় শুধু ক্ষমতাসীনদের বেড়েছে আর দেশের জনগণ ফকির হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারি দলের নেতাদের কাছে হাজার হাজার কোটি কালো টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এরা জনগণের সেবক নয় শোষক, এরা লুটেরার দল। এদের থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সকলকে আরও ঐকবদ্ধ হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ উপস্থিত ছিলেন।