যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ১ জুন ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল আলম সম্রাটকে দুই মাসের জন্য পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় দিয়ে চিকিৎসা করাতে একমাসের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন।
আপিল বিভাগের রায় ফলো না করেই তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত বছরের ২২ অক্টোবর সম্রাট স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী স্থায়ী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন বহাল রাখেন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া অভিযোগপত্রে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, এ টাকা তিনি পাচার করেছেন। গত বছরের ২২ মার্চ অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদক ও অস্ত্র পাওয়ার কথা বলা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
এমএইচএফ