সমাবেশের মাঠেই জুমার নামাজ আদায়

বাস বন্ধ: নানা উপায়ে ফরিদপুর আসছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের মাঠেই শুক্রবার (১১ নভেম্বর) জুমার নামাজ আদায় করেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।  নামাজ শেষে গণসমাবেশ সফল করতে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

গণসমাবেশের সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে অনেক নেতাকর্মী সমাবেশের মাঠে রাত কাটিয়েছেন।  তাদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  আজও অনেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন।

সমাবেশের একদিন আগেই শুক্রবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল, মাইক্রাবাস, ছোট ট্রাকে করে সমাবেশস্থলে আসছেন।  ইতোমধ্যে যারা সমাবেশস্থলে রয়েছেন তারা সঙ্গে খাবার, বিছানাপত্র ও পানি নিয়ে এসেছেন।  বাকিদের জন্য সমাবেশ মঞ্চের পাশেই রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  এতে মাদারীপুর থেকে ফরিদপুরগামী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।  যাত্রীরা জরুরি প্রয়োজনে বাড়তি টাকা খরচ করে মাদারীপুর থেকে ভেঙে ভেঙে ফরিদপুরে যাচ্ছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে মাদারীপুর-ফরিদপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বলেন, ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ নষ্ট করার জন্য সরকারি দলের লোকজন বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।  কিন্তু আমাদের নেতাকর্মী ও জনগণকে কোনোভাবেই ফরিদপুরে যাওয়া আটকাতে পারবে না।  আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সঠিক সময়ে গিয়ে ফরিদপুরের সমাবেশ সফল করব।

তবে এ বিষয়ে মাদারীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে জানানো হয়েছে, বিএনপির সমাবেশ বানচাল করার উদ্দেশ্যে বাস চলাচল বন্ধ হয়নি।  মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতেই এ ধর্মঘট।  মাদারীপুর থেকে ফরিদপুরে দুইদিন কোনো বাস ছেড়ে যাবে না।

উল্লেখ্য, ফরিদপুরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার (১২ নভেম্বর)।

খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ বিলুপ্ত, সরকারকে পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি।  ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগে গণসমাবেশ করা হয়েছে।