চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের পেছনে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও এক জন। জানা গেছে, তারা চারজনই স্কুলছাত্র এবং সম্পর্কে বন্ধু।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৫নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কমলদহ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্র ৩ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন- ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র জনি (১৬), অষ্টম শ্রেণীর আকিব (১৪) ও ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মুসলিম হাইস্কুলের ছাত্র ইমাম (১৬)। আহত অন্য স্কুল ছাত্রের বাড়ি ১৪ নং হাইতকান্দি ইউনিয়নের কচুয়া এলাকায় বলে জানা গেছে। তবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোটকমলদহ বাজারের পূর্বে একটি একটি দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের পেছনে বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল সজোরে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয় ও গুরুতর আহত হয় একজন। আহত ও নিহতরা সবাই স্কুলছাত্র। আহত স্কুলছাত্রকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহত তিন স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি টেরিয়ালে নেয়া হয়েছে।
সাহেরখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন জানান, নিহত আকিব ও জনি সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। আকিব অষ্টম শ্রেণী ও জনি দশম শ্রেণীর ছাত্র। আকিব তার বড় ভাইয়ের মোটরসাইকেল চালায়। মোটরসাইকেল চালনায় তাকে বার বার নিষেধ করার পরও সে ব্যাপরোয়া মোটরসাইকেল চালাত। নিহত আকিব ও জনি একই বাড়ির চাচাতো-জ্যাঠাতো ভাই। তাদের বাড়ি সাহেরখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মোল্লা পাড়ায়। নিহত আকিব ওই এলাকার সাবেক মেম্বার হাসিমের ছেলে।
ওয়াহেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ জানান, তিনি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশকে সহায়তা করেছেন। এছাড়া তিনিও নিশ্চিত করেন, দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
কুমিরা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন দৈনিক দেশ বর্তমানকে জানান, নিহত ৩ স্কুলছাত্রের মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আহত স্কুল ছাত্রের তথ্য আমাদের কাছে নেই। দুর্ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।