মো: মোজাহিদ, গাজীপুর:
গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ফয়সাল আবেদীনকে (৩৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে র্দূবৃত্তরা। পরে তার হাতে পিস্তল দিয়ে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। ভিডিও প্রকাশ করে তাকে ফাঁসানেরা ভয় দেখিয়ে দশ লাখ টাকা দাবী করে দুর্বৃত্তরা। প্রায় দুই ঘন্টা তাকে নির্যাতন কারা হয়। তিনি কৌশলে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। গত রোববার (২১জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়াসাংগুন গ্রামের তিন নদীর মোহনার নির্জন স্থানে ভুক্তভোগী ফয়সালকে ধরে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে রাতেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। নির্যাতনের স্বীকার এস এম ফয়সাল আবেদীন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী মধ্যপাড়া গ্রামের এস এম জয়নাল আবেদীনের সন্তান। অভিযুক্তরা হলেন, বরমী পাঠানটেক গ্রামের মো. মোছলে উদ্দিনের ছেলে রাসেল (২৭), রাজিব (৩০) ও পাইটাল বাড়ি গ্রামের সিরাজের ছেলে মাসুম(২৮) সহ অচেনা ৭-৮ জন।
ফয়সাল জানান, সেদিন বিকেলে তিনি ব্যবসায়ীক কাজ শেষে কাওরাইদ থেকে মোটর সাইকেলে বরমী বাজারে ফিরছিলেন। বিকেল চারটার সময় তিনি কাওরাইদ-বরমী আঞ্চলিক সড়কের বরকুল বালিকা মাদরাসার পাশে এলেই অভিযুক্তরা তার মোটসাইকেলের গতিরোধ করে। তাকে টানাহ্যাঁচরা করে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে তিন নদীর মোহনার ওই নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা তাকে বিশেষ ধরণের স্প্রিং যুক্ত লাঠিদিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে তার কোমড়ে ও হাতে পিস্তল দিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে এবং ভিডিও ধারণ করে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা ফয়সালকে হত্যার ভয় দেখায়। ভিডিও ছড়িয়ে ফাঁসিয়ে দেবার হুমাকি দেয়। এসময় অভিযুক্তরা তার নিকট ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ফয়সাল পাঁচ লাখ টাকা দেবার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। বরমী ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ খন্দকার জানান, অভিযুক্তরা এলাকার চিহ্নিত খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা ফয়সালকে এলোপাথারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। রাতেই চিকিৎসা করানো হয়। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামান জানান,রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।